০২:৩৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫, ৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ভোলা-বরিশাল সেতুর দাবিতে মানববন্ধন ভোলা জেলা ওলামা তলাবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বিলুপ্ত করায় বিমানবন্দরে এফবিসিসিএফএএ’র সংবাদ সম্মেলন ক্যারিয়ার বাংলাদেশের গোল টেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত দলিপাড়া ও দেশবাসীকে ঈদ-উল-ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন আবু জাফর আলম উত্তরা ১১ নং সেক্টর ও দেশবাসীকে ঈদ-উল-ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন অধ্যক্ষ সালাউদ্দিন ভূঁইয়া সেই গুলিবিদ্ধ ইমরান কে দেখতে গেলেন লুৎফুজ্জামান বাবর একাত্তরের ন্যায় ২৪ যোদ্ধারাও পাবে সকল সুবিধা-মুস্তাফিজ সেগুন গুম-খুনের শিকার ও চব্বিশের শহীদ পরিবারকে ঈদ উপহার দিলেন বিএনপি নেতা আমিনুল হক জাতিসঙ্ঘ শূন্য বর্জ্য দিবসে প্রফেসর ইউনূসকে অভিনন্দন জানালেন তুরস্কের ফার্স্ট লেডি চীনা বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

বাঁধ ভেঙে ফুলগাজী ও পরশুরামের ৮ গ্রাম প্লাবিত

নিউজ ডেস্ক :
  • আপডেট সময় : ১১:৩১:০৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৭ অগাস্ট ২০২৩ ৩৮ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস অব টাইম অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে মুহুরী নদীর ৩টি স্থানে বাঁধ ভেঙে ফেনীর ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলার ৮টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। সোমবার ভোরে ফুলগাজীর সদর ইউনিয়নের উত্তর দৌলতপুর ও উত্তর বরইয়া স্থানে মুহুরী নদীর দুটি স্থানে বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করে।

এসময় বাঁধের আশপাশের গ্রাম উত্তর বরইয়া, বনিক পাড়া, বিজয় পুর, কিসমত বিজয়পুর, বসন্তপুর, জগতপুরে লোকালয়ে বানের পানি ঢুকে পড়ে। দুপরে পরশুরামের চিথলিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম অলকা গ্রামে বেড়িবাঁধের একটি স্থান ভেঙে পশ্চিম অলকা ও পূর্ব অলকা গ্রাম প্লাবিত হয়। এদিকে বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করায় তলিয়ে যায় ফসলি জমি, মাছের ঘের, রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি।

এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, ৭৩১ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি মেগা প্রকল্প মন্ত্রণালয়ে অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। সেটি পাস হলেই এখানে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হবে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আরিফুর রহমান ভূঞা বলেন, ১২২ কিলোমিটার নদীটির অনেক অংশই ঝুঁকিপূর্ণ।

পানি উন্নয় বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাশেদ শাহরিয়ার বলেন, ফুলগাজীর দুটি অংশে বাঁধ ভাঙার পর পরশুরামেও একটি স্থানে বাঁধ ভেঙেছে। আমরা মনিটরিং করছি। পানি নামলেই দ্রুতই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নদীর জন্য যে জায়গা প্রয়োজন আছে, সেটা এখানে নেই। এখানে জায়গা সংকীর্ণ হয়ে গেছে। নদীটা বড় করে দিতে হবে, গভীরও করতে হবে। তখন হয়তো ভাঙন কমবে। এখানে লিকেজ ছিল গতকালও আমরা কাজ করেছি। পানি বেড়ে যাওয়ায় ভাঙন দেখা দিয়েছি। এটাতো মাটির বাঁধ।

বাঁধভাঙা স্থান পরিদর্শন করেছেন ফেনী জেলা প্রশাসক মুছাম্মৎ শাহিনা আক্তার। এসময় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৫ শত পরিবারের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে।

জেলা প্রশাসক বলেন, তালিকা করে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণ করা হবে। তাছাড়া মেগা প্রকল্পটি অনুমোদন পেলেই এখানে কাজ শুরু করা হবে বলে পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে বলে তিনি জানান।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

বাঁধ ভেঙে ফুলগাজী ও পরশুরামের ৮ গ্রাম প্লাবিত

আপডেট সময় : ১১:৩১:০৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৭ অগাস্ট ২০২৩

টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে মুহুরী নদীর ৩টি স্থানে বাঁধ ভেঙে ফেনীর ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলার ৮টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। সোমবার ভোরে ফুলগাজীর সদর ইউনিয়নের উত্তর দৌলতপুর ও উত্তর বরইয়া স্থানে মুহুরী নদীর দুটি স্থানে বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করে।

এসময় বাঁধের আশপাশের গ্রাম উত্তর বরইয়া, বনিক পাড়া, বিজয় পুর, কিসমত বিজয়পুর, বসন্তপুর, জগতপুরে লোকালয়ে বানের পানি ঢুকে পড়ে। দুপরে পরশুরামের চিথলিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম অলকা গ্রামে বেড়িবাঁধের একটি স্থান ভেঙে পশ্চিম অলকা ও পূর্ব অলকা গ্রাম প্লাবিত হয়। এদিকে বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করায় তলিয়ে যায় ফসলি জমি, মাছের ঘের, রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি।

এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, ৭৩১ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি মেগা প্রকল্প মন্ত্রণালয়ে অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। সেটি পাস হলেই এখানে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হবে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আরিফুর রহমান ভূঞা বলেন, ১২২ কিলোমিটার নদীটির অনেক অংশই ঝুঁকিপূর্ণ।

পানি উন্নয় বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাশেদ শাহরিয়ার বলেন, ফুলগাজীর দুটি অংশে বাঁধ ভাঙার পর পরশুরামেও একটি স্থানে বাঁধ ভেঙেছে। আমরা মনিটরিং করছি। পানি নামলেই দ্রুতই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নদীর জন্য যে জায়গা প্রয়োজন আছে, সেটা এখানে নেই। এখানে জায়গা সংকীর্ণ হয়ে গেছে। নদীটা বড় করে দিতে হবে, গভীরও করতে হবে। তখন হয়তো ভাঙন কমবে। এখানে লিকেজ ছিল গতকালও আমরা কাজ করেছি। পানি বেড়ে যাওয়ায় ভাঙন দেখা দিয়েছি। এটাতো মাটির বাঁধ।

বাঁধভাঙা স্থান পরিদর্শন করেছেন ফেনী জেলা প্রশাসক মুছাম্মৎ শাহিনা আক্তার। এসময় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৫ শত পরিবারের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে।

জেলা প্রশাসক বলেন, তালিকা করে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণ করা হবে। তাছাড়া মেগা প্রকল্পটি অনুমোদন পেলেই এখানে কাজ শুরু করা হবে বলে পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে বলে তিনি জানান।