সংবাদ শিরোনাম ::
ছাত্রের পেছনে ছাত্রকে, শিক্ষকের পেছনে ছাত্রকে গোয়েন্দা হিসেবে ব্যবহার না করা : মুফতী দিলাওয়ার হুসাইন

ইসলাম ডেস্ক :
- আপডেট সময় : ০২:৫৭:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৩ ৩৮ বার পড়া হয়েছে
মুফতী ত্বকি উসমানী (হাফিজাহুল্লাহ) বলেছেন, কোন কোন শিক্ষককে দেখা যায় তালিবুল ইলমকে সি.আই.ডি হিসেবে ব্যবহার করে বলে যে, তুমি দেখবে, কে কী করে, না করে। কে কোথায় যায় বা না যায়। অতঃপর আমাকে জানাবে। হযরত বললেন, এটা নিয়ম নয়। এতে করে যাকে সি.আই.ডি রাখলাম তার জীবন শেষ হয়ে যাবে। এ ছাত্র সাধারণত মানুষ হবে না। এর বিভিন্ন কারণ আছে।
যেমন:
১. তাকে ছাত্ররা ভালো দৃষ্টিতে দেখে না।
২. তাকে কেউ ভালোবাসে না।
৩. তার উপর অনেকের মনে কষ্ট থাকে।
৪. তাকে অনেকে বদদুয়া দেয়।
৫. পরবর্তীতে তার আলোচনা প্রশংসা সম্বলিত হয় না।
৬. তাকে সি.আই.ডিগিরি করতে গিয়ে নিজের লেখাপড়া নষ্ট করতে হয়।
৭. অনেক সময় সে সুযোগকে প্রতিশোধের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে।
৮. এটা নিয়ে অনেক সময় অন্যদের সাথে ঝগড়া সৃষ্টি হয়।
৯. এ দায়িত্ব পেয়ে সে নিজেকে অনেক বড় মনে করে। যা অহংকারের নামান্তর।
১০. ছাত্রদের চোখে ধোঁকা দেয়ার জন্য অনেক সময় সে মিথ্যার আশ্রয় গ্রহণ করে ইত্যাদি।
(মাঝখানে আমি একটা কথা বলি, অনেক সময় দেখা যায় মুহতামিম সাহেবগণ, উস্তাযের পেছনে গোয়েন্দাগিরি করার জন্য ছাত্র নিয়োগ করেন। ফলে হয় কী জানেন? সে হয়ে ওঠে একটা লম্পট, বেয়াদব। একটা সময় সে উস্তাযকে উস্তাযই মনে করে না।)
রফী উসমানী (রাহি.) বলেন, একজন ছাত্রের জীবন শেষ করে দিলাম তাকে সি.আই.ডি রেখে।
তাছাড়া সে আমাকে অন্যান্য ছাত্রদের সংবাদ দেবে। সব ছাত্রদের সাথে তার সম্পর্ক এক রকম হয় না। কারো সাথে ভালো সম্পর্ক, কারো সাথে মন্দ সম্পর্ক, সুতরাং সম্পর্ক যার সাথে খারাপ তার বেলায় এক রকম সংবাদ পৌঁছাবে আর যার সাথে ভালো তার বেলায় আরেক রকম সংবাদ পৌঁছাবে। এর জন্য তাকে মিথ্যা সংবাদও পৌঁছাতে হবে। সে সত্য কথায় বলবে, কিন্তু কথায় ধরণ, কথার ভাবভঙ্গিমা এমন হবে যে আপনি উল্টো বুঝবেন।
সুতরাং কোনো ছাত্রকে সি.আই.ডি হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না; বরং সব খোঁজ-খবর আপনাকে মধ্যস্ততা ছাড়া সরাসরি নিতে হবে।
(সংগৃহীত : ছাত্র, শিক্ষক দায়িত্ব কর্তব্য-মুফতী দিলাওয়ার হুসাইন হাফি.)