বরিশাল সিটিতে ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়জুল করিম
বরিশাল সিটিতে প্রার্থী ঘোষণা করলো ইসলামী আন্দোলন

- আপডেট সময় : ০৪:২৫:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৩ ৭০ বার পড়া হয়েছে
আসন্ন বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনকে সামনে রেখে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কাজ করে যাচ্ছে দিনরাত। বরিশাল সিটি নিয়ে ইসলামী আন্দোলন খুবই আশাবাদী। কিন্তু কে হবে এই বরিশাল সিটির হাত পাখার কান্ডারী তা নিয়ে চলছিল জল্পনা কল্পনা। এবার সব জল্পনা-কল্পনা অবসান ঘটিয়ে আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে প্রার্থী ঘোষণা করেন দলের আমির মুক্তি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম পীর সাহেব চরমোনাই। প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণা হয় দলের সিনিয়র নায়েবে আমি মুফতি ফয়জুল করিমের। বরিশাল সিটি কর্পোরেশনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হাতপাখা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম।
বরিশাল সিটি কর্পোরশন নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থী ঘোষণা করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। দলের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম পীর সাহেব চরমোনাই আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন। বরিশাল সদর উপজেলার চরমোনাই মাদ্রাসায় এই সংবাদ সম্মেলন হয়।
মনোনয়ন ঘোষণার সময় পীর সাহেব চরমোনাই ও দলের আমির মুফতি সৈয়দ রেজাউল করিম বলেন, সাম্য, ন্যায়, মানবিক শান্তি ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্যই ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ লড়াই করে আসছে। বরিশাল তাঁদের নিজের এবং প্রাণের শহর মনে করেন। এই শহরের উন্নয়ন, মানুষের মর্যাদা, ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে তাঁদের প্রার্থী কাজ করবেন এটাই তাদের বিশ্বাস।
ভোটের যুদ্ধে মুসলমানদের পাশাপাশি অন্য ধর্মালম্বীদের ভোট পাবে বলে আশাবাদী দলটি। দলের আমির পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, আগে ইসলামী আন্দোলনকে নিয়ে অন্য ধর্মালম্বী মানুষের মধ্যে ভীতি ছিল, কিন্তু ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ হিংসা-বিদ্বেষ, হানাহানি, স্বজন প্রীতিতে বিশ্বাস করে না। কথার সঙ্গে কাজের মিল থাকায় এখন অন্য ধর্মাবলম্বীরাও ইসলামী আন্দোলনের নীতি-আদর্শের সঙ্গে শামিল হচ্ছেন। ইতিমধ্যে কয়েকটি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তার প্রমাণ পাওয়া যায়। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের বেশ কয়েকজন চেয়ারম্যান প্রার্থী বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছেন। তাদের ব্যবহারে জনগণ মুগ্ধ।
দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার পর মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়জুল করিম বলেন, আমি বরিশাল নগরবাসীর সেবক হতে চাই। আমি মনে করি বরিশাল নগরীর মানুষের আশা এবং কাঙ্খিত উন্নয়ন করতে সক্ষম হব। বরিশাল নগরীর উন্নয়ন এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা হবে আমার মূল লক্ষ্য।
ইতিপূর্বে বরিশাল সিটি থেকে নির্বাচন করেছিলেন মাওলানা ওবায়দুর রহমান সাহেব। তিনি এখন বয়বৃদ্ধ এবং শারীরিকভাবে দুর্বল। তবে সিটি কর্পোরেশনের মনোনয়নে বরিশাল ইউনিয়ন এর সাবেক চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ মুহাম্মাদ আবুল খায়ের হওয়ার কথাও চলছিল। বরিশাল সিটিতে মনোনয়ন দেওয়ার চিন্তা করে তাকে ইউপি মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। চরমোনাই ইউপি নির্বাচনে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে দলের আমির মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই এর সেজ ভাই সৈয়দ জিয়াউল করিম কে। তিনি বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়ে বর্তমান চেয়ারম্যান।
আসন্ন বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে সৈয়দ ইসহাক মুহাম্মাদ আবুল খায়ের অথবা মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়জুল করিম যেকোনো একজন মনোনয়ন পাবে বলে গুঞ্জন চলছিল। সব গুঞ্জন কাটিয়ে মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করিমের নাম ঘোষণা হলো আজ আনুষ্ঠানিকভাবে।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ বরিশাল কে তাদের ভোটের ব্যাংক মনে করেন। অন্যদিকে বিএনপি না থাকায় এই আসনটি নিয়ে তারা অনেকটাই আশাবাদী।
ইতিপূর্বে 2018 সালের নির্বাচনে বরিশাল সিটিতে ইসলামী আন্দোলন ২৭ হাজারের বেশি ভোট পেয়েছেন ।তখনও সৈয়দ মুফতি ফয়জুল করিমীই প্রার্থী ছিলেন।
বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নিয়ে দলের নেতাকর্মী সবাই খুবই আশাবাদী এবং সেই লক্ষ্যে মাঠ পর্যায়ে কাজ করে যাচ্ছে।