দেশে লবনের সংকট নেই
ঢাকায় গরুর চামড়া প্রতি বর্গফুট ৫০-৫৫ টাকা এবং ঢাকার বাইরে ৪৫-৪৮ টাকা নির্ধারণ- টিপু মুনশী

- আপডেট সময় : ০২:৩২:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ জুন ২০২৩ ৩৯ বার পড়া হয়েছে
ঢাকায় গরুর চামড়া প্রতি বর্গফুট ৫০-৫৫ টাকা এবং ঢাকার বাইরে ৪৫-৪৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া, লবণযুক্ত খাসির ও বকরির চামড়ার দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
আজ রবিবার ২৫ জুন’২৩ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে কাঁচা চামড়ার মূল্য নির্ধারণ ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনাসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে পর্যালোচনার লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘ব্যবসায়ীরা যেহেতু দাম নিয়ে কারসাজি করেন, সে কারণে চামড়াগুলো রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা করার বিষয়ে একজন সাংবাদিকের এক প্রস্তাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এটি সুন্দর একটি প্রস্তাব। তবে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে চামড়া নিয়ে রাখলে ১০ শতাংশ চামড়াও রক্ষা করা যাবে না। কারণ, আমাদের তেমন কোনও সিস্টেম ডেভেলপ করেনি।’
ট্যানারি মালিকরা যদি ইচ্ছা করে চামড়ার দাম কমানোর জন্য কারসাজি করেন, তাহলে কাঁচা চামড়া বিদেশে রফতানির অনুমতি দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
উল্লেখ্য, গত বছর ঢাকায় প্রতি বর্গফুট লবণয্ক্ত গরুর চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হয়েছিল ৪৭ থেকে ৫২ টাকা। আর ঢাকার বাইরের দর ছিল ৪০ থেকে ৪৪ টাকা। গত বছর প্রতি বর্গফুট খাসির চামড়া ১৮ থেকে ২০ টাকা এবং বকরির চামড়া প্রতি বর্গফুট ১২ থেকে ১৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল।
টিপু মুনশি বলেন, ‘বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার বিভাগ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দফতর ও সংস্থা থেকে সম্মিলিতভাবে মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এছাড়া জেলা প্রশাসক, বিভাগীয় কমিশনার, পুলিশসহ সংশ্লিষ্টদের সমন্বয়ে মনিটরিং কমিটি করা আছে। সেই মনিটরিং টিম এটি দেখভাল করবে, যাতে করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়।’
চামড়াকে দেশের রাষ্ট্রীয় সম্পদ উল্লেখ করে চামড়া যেন নষ্ট না হয়, সে বিষয়ে সবাইকে বিশেষ করে চামড়া শিল্পের সঙ্গে সংযুক্তদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানান বাণিজ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘এ লক্ষ্যে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়াসহ সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক প্রচারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।’
টিপু মুনশি জানান, সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার জন্য ঈদের পরবর্তী ৭ দিন ঢাকায় বাইরের চামড়া যাতে না আসে, সেজন্য সবাইকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। সারা দেশের লবণয্ক্তু চামড়া পর্যায়ক্রমে ঢাকায় আনা হবে। দেশে এ বছর রেকর্ড পরিমাণ লবণ উৎপাদন হয়েছে। লবণের কোনও ঘাটতি নেই। তাই লবণ দিয়ে চামড়া সংরক্ষণ করার জন্য সবাইকে অনুরোধ জানান তিনি।
এ প্রসঙ্গে টিপু মুনশি আরও বলেন, ‘এবছর অনেক গরম। তাই বাজারে লবণের সরবরাহ নিশ্চিত করতে শিল্প মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করা হয়েছে।’ লবণের সংকট ও দামও যেনো না বাড়ে, তা মনিটরিং করতেও শিল্প মন্ত্রণালয়কে অবহিত করা হয়েছে বলেও জানান বাণিজ্যমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ এবং স্থানীয় সরকার বিভাগ, শিল্প মন্ত্রণালয়, মৎস ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংকসহ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রতিষ্ঠানের প্রধান ছাড়াও সংশ্লিষ্ট দফতর ও সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, এ বছর লবণযুক্ত ঢাকায় গরুর চামড়া প্রতি বর্গফুট ৫০-৫৫ টাকা এবং ঢাকার বাইরে ৪৫-৪৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া, লবণযুক্ত খাসির ও বকরির চামড়ার দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।