নারীদের ধর্মীয় অধিকার অক্ষুন্ন রেখেই এনআইডি সুবিধা প্রদান করতে হবে
ছবি নয়, শুধু আঙ্গুলের ছাপে জাতীয় পরিচয়পত্র দেয়ার দাবী মহিলা আনজুমানের

- আপডেট সময় : ০২:১৬:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ জুন ২০২৩ ৬৩ বার পড়া হয়েছে
মুখের ছবি না নিয়ে শুধু ফিঙ্গার প্রিন্টের (আঙুলের ছাপ) ভিত্তিতে পর্দানশীন নারীদের জন্য জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) দেওয়ার ব্যবস্থা রাখার দাবি জানিয়েছে মহিলা আনজুমান দরবার শরীফ রাজারবাগ।
সোমবার (১৯ জুন) সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান মহিলা আনজুমানের মুখপাত্র শারমিন ইয়াসমিন।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, যেহেতু এনআইডির দায়িত্ব স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে যাচ্ছে, তাই মহিলা আনজুমান আশাবাদী যে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পর্দানশীন নারীদের বিষয়টি বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে দেখবে এবং তাদের ধর্মীয় অধিকার অক্ষুন্ন রেখেই এনআইডি সুবিধা প্রদান করবে।
সংগঠনটি মনে করে, শুধুমাত্র মুখচ্ছবি দিতে সম্মতি না দেওয়ায় নারীদের এনআইডি থেকে বঞ্চিত করে রাখা মানবাধিকার লঙ্ঘন। বর্তমানে রাষ্ট্রের ২২টি মৌলিক ও নাগরিক অধিকার পেতে এনআইডির প্রয়োজন। কিন্তু শুধুমাত্র মুখচ্ছবি দিতে সম্মতি না দেয়ায় লাখ লাখ নারীকে এনআইডি থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে।
শারমিন ইয়াসমিন আরো বলেন, এনআইডি নির্ভুলভাবে শনাক্ত করার জন্য ফিঙ্গার ও আইরিশই যথেষ্ট। মুখচ্ছবিকে পুঁজি করে অপরাধ ও দুর্নীতির সুযোগ থাকে। এজন্য তারা এনআইডিসহ রাষ্ট্রের সব প্রযোজ্য ক্ষেত্রে ফিঙ্গারপ্রিন্ট ব্যবহারের দাবি জানায়।
সংবাদ সম্মেলনে সরকারের কাছে মহিলা আনজুমান তিনটি দাবিও তুলে ধরেছে-
১. প্রস্তাবিত ‘‘পরিচয় নিবন্ধন আইন ২০২৩”-এ যেন এনআইডির জন্য মুখচ্ছবি বাধ্যতামূলক করা না হয়।
২. শুধু এনআইডি নয়, রাষ্ট্রের সব ক্ষেত্রে যেমন- অফিস-আদালত, কল-কারখানা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা পরীক্ষার হলে অপরাধ, দুর্নীতি ও প্রক্সি রুখতে ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিয়ে শনাক্তকরণ/হাজিরা চালু করা হোক।
৩. চেহারা দেখাসহ কোনো সহযোগিতার প্রয়োজন হলে পৃথক স্থানে নারী দিয়েই নারীদের সহযোগিতার ব্যবস্থা করা হোক।