
- আপডেট সময় : ০১:৫৪:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ অগাস্ট ২০২৩ ৩২ বার পড়া হয়েছে
কয়েকদিনের টানা বর্ষণ আর পাহাড়ি ঢলে কক্সবাজারসহ গোটা চট্টগ্রাম অঞ্চল পানির নিচে তলিয়ে গেছে। বানের তুড়ে ডুবে গেছে হাজারো বাড়িঘর, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বীজতলা ও চাষের জমি। ভেঙে গেছে বেড়ীবাঁধ এবং তলিয়ে গেছে চট্টগ্রাম থেকে টেকনাফ পর্যন্ত বিস্তীর্ণ জনপদ। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে লাখ লাখ মানুষ। একই সাথে পানিতে তলিয়ে গেছে কক্সবাজার চট্টগ্রাম মহাসড়কের কয়েক স্থান। এতে করে কক্সবাজার চট্টগ্রামের সাথে সরাসরি যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
টানা বৃষ্টির সময় পাহাড় ধসে চকরিয়ায় ২ শিশু এবং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ২ শিশু, চকরিয়া স্রোতে ভেসে গিয়ে আরো ১ শিশু এবং ১ যুবক নিহত হয়েছে।
এপ্রঙ্গে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক শাহীন ইমরান বলেন, টানা বর্ষণ পাহাড়ী ঢল ও পূর্ণিমার জোয়ারে গোটা জেলায় লাখো মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন।
অসহায় মানুষ গুলোকে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে এসে খাবারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। একইবাবে কক্সবাজার শহরে এবং পাহাড়ের পাশে অবস্থানকারীদের ও পাহাড় ধসের আশঙ্কায় সরিয়ে নেয়া হচ্ছে।
সড়ক যোগাযোগ বন্ধ প্রসঙ্গে সৌদিয়া পরিবহণ সংস্থার কক্সবাজার অঞ্চলের পরিচালক নিরুপম পাল নিরু বলেন, কয়েকদিনের টানা বর্ষণে পাহাড়ী ঢলে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কয়েক স্থান পানির নচে তলিয়ে গেছে। বিশেষ করে দোহাজারী এলাকার কশাই পাড়ায় সড়ক ডুবে গেছে। এখানে ঢলের পানি বিপদ সীমা অতিক্রম করেছে।
দুই পাশে শত শত যানবাহন আটকা পড়ে আছে।
জানা গেছে, কশাই পাড়া ছারাও, কেরানী হাট রাস্তার মাথা, মৌলবীর দোকান এলাকায় ও ডুবে গেছে সড়ক। ভোগান্তিতে পড়েছেন পর্যটক সহ স্থানীয় জন সাধারাণ।
কশাই পাড়ায় সড়কের এপার ওপারে আটকা পড়া কয়েজন যাত্রী জানান, আজ ভোর রাত থেকে সড়কের উপর দিয়ে প্রবল স্রোতে ৫/৬ ফুট পানি অতিক্রম করছে। এতে করে যানবাহন পারাপার বন্ধ রয়েছে। অনেকে নৌকা আর ভ্যানে পারাপার করলেও খুবই রিস্কি। দুই পাশে শত শত যান বাহনের হাজারো যাত্রী আটকা পড়ে আছে। আটকে পড়া যাত্রীরা অবর্ণনীয় সম্মুখীন হচ্ছে।
কবে নাগাদ এই সমস্যার সমাধান হতে পারে তাও কারো জানা নেই।