সংবাদ শিরোনাম ::
এনজিওগুলো কোথায়? তাদের নিবন্ধন কেন বাতিল হবে না? মুফতী দেলোয়ার হোসাইন সাকী

নিউজ ডেস্ক :
- আপডেট সময় : ১২:২৩:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৩ ৩৩ বার পড়া হয়েছে
দেশে তিন লক্ষাধিক এনজিও সংস্থা আছে। অসহায় মানুষের সহযোগিতা, দারিদ্রতা বিমোচন, শিক্ষা ও চিকিৎসা সেবা এবং ক্ষুদ্রঋণের মাধ্যমে অসহায় মানুষকে স্বাবলম্বী করার চমকপ্রদ স্লোগানে এরা জনগণের রক্ত শুষে গরিব অসহায় মানুষের কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে।
আশা, ব্র্যাকসহ অনেক এনজিও অসহায় মানুষের কাছ থেকে নেওয়া সুদের টাকায় বিশাল বিশাল প্রতিষ্ঠানে রূপ নিয়েছে।

চট্টগ্রাম বন্যার কারণে সারা দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন ছিল তিন দিন। সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, চন্দনাইশ, চকরিয়ার শতভাগ মানুষ বন্যায় আক্রান্ত ছিল। হাজার হাজার পরিবার খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবন যাপন করছে। সাঙ্গু নদীর তীব্র স্রোতে ভেসে গেছে তাদের ঘরবাড়ি। সরকারি হিসাব অনুযায়ী মৃত্যুর সংখ্যা ৩০ এর অধিক। এলাকাবাসীর ভাষ্যমতে শতাধিক। স্রোতের কারণে রাস্তাঘাট ভেঙ্গে চলছে অচলাবস্থা। প্রত্যেকটা মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত। ঘরে চাল ডাল নেই, নাই ছেলে সন্তানদের মুখে তুলে দেবার মত কোন আহার।
মানবতার কঠিন এই সংকটে এনজিও সংস্থাগুলোর ভূমিকা কী?
তারা সেবার ছদ্মাবরণে অসহায় মানুষকে ঠকিয়ে কোটি কোটি টাকার ব্যবসা করেছে। তাই এসব এনজিও সংস্থাগুলোর নিবন্ধন পুনর্বিবেচনা করা হোক। যারা সেবার নামে ব্যবসা করছে, তাদের নিবন্ধন বাতিল করা হোক। যারা সেবার ছদ্মাবরণে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদেরকে খ্রিস্টান বানানোর পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া হোক।
একটি রাজনৈতিক সংগঠন এবং কিছু ধর্মীয় সামাজি সংগঠন যে কোন দুর্যোগে সবার আগে গিয়ে মানবতার পাশে দাঁড়ায়। জাতির যেকোনো সংকটে, দুর্দিনে, দুর্ঘটনায়, করোনা মহামারীতে, বন্যা কবলিত এলাকায় সাধ্য অনুযায়ী ভূমিকা রেখে চলছে।
বন্যা কবলিত এলাকার মানুষের দাবি- সরকারের ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়, এনজিও ব্যুরো এবং নিবন্ধিত এনজিও সংখ্যাগুলো দ্রুত কার্যকর ভূমিকা পালন করুক। নয়তো জনগণের কাঠগড়ায় এদেরকে দাঁড় করানো উচিত।
.