০৩:২৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫, ৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ভোলা-বরিশাল সেতুর দাবিতে মানববন্ধন ভোলা জেলা ওলামা তলাবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বিলুপ্ত করায় বিমানবন্দরে এফবিসিসিএফএএ’র সংবাদ সম্মেলন ক্যারিয়ার বাংলাদেশের গোল টেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত দলিপাড়া ও দেশবাসীকে ঈদ-উল-ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন আবু জাফর আলম উত্তরা ১১ নং সেক্টর ও দেশবাসীকে ঈদ-উল-ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন অধ্যক্ষ সালাউদ্দিন ভূঁইয়া সেই গুলিবিদ্ধ ইমরান কে দেখতে গেলেন লুৎফুজ্জামান বাবর একাত্তরের ন্যায় ২৪ যোদ্ধারাও পাবে সকল সুবিধা-মুস্তাফিজ সেগুন গুম-খুনের শিকার ও চব্বিশের শহীদ পরিবারকে ঈদ উপহার দিলেন বিএনপি নেতা আমিনুল হক জাতিসঙ্ঘ শূন্য বর্জ্য দিবসে প্রফেসর ইউনূসকে অভিনন্দন জানালেন তুরস্কের ফার্স্ট লেডি চীনা বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

১৮-১৯ ঢাকায় পদ যাত্রা

আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবি আদায়ে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে -বিএনপি

নিউজ ডেস্ক :
  • আপডেট সময় : ০৪:৩৫:৪০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ জুলাই ২০২৩ ২৪ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস অব টাইম অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আজ ১২ জুলাই’২৩ বিকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির অফিসের সামনে আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবি আদায়ে সমাবেশ করেছে বিএনপি। সমাবেশ থেকে কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। প্রাথমিকভাবে ঢাকায় দুই দিন এবং সারা দেশে এক দিন পদযাত্রা করবে তারা।

ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে এবং উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক ও দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিনের সঞ্চালনায় এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল বলেন, এক দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ১৮ জুলাই মহানগরীসহ ঢাকা এবং সারা দেশের মহানগরী ও জেলা পর্যায়ে পদযাত্রা করা হবে। এ পদযাত্রার মধ্য দিয়েই তাদের পতনকে আরও ত্বরান্বিত করা হবে।

ঢাকা মহানগরীতে পদযাত্রা হবে দুই দিন। ১৮ জুলাই সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত গাবতলী থেকে যাত্রাবাড়ী পর্যন্ত পদযাত্রা করা হবে। ১৯ জুলাই সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত উত্তরার আবদুল্লাহপুর থেকে পুরান ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্ক পর্যন্ত পদযাত্রা হবে বলে জানান মির্জা ফখরুল।

এর আগে সমাবেশে বক্তব্যে বিএনপি নেতারা রক্ত দিয়ে হলেও আওয়ামী লীগ সরকারের অধীন নির্বাচন হতে না দেওয়ার ঘোষণা দেন। তাঁরা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করলেই কেবল নির্বাচন হবে।

নেতা–কর্মীদের উদ্দেশে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আপনাদের প্রত্যাশিত কর্মসূচি দিয়ে এই সরকারকে সরিয়ে নিরপেক্ষ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করব।’

শত বাধা–বিপত্তি উপেক্ষা করে লাখ লাখ মানুষ সমবেত হয়েছে উল্লেখ করেন মির্জা ফখরুল বলেন, ‘কোথাও ফয়সালা না হলে রাজপথে ফায়সালা হবে। জয় আমাদের হবেই।’

৩৬টির মতো রাজনৈতিক দল ও জোটের সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে আজকের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানান মির্জা ফখরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘সব রাজনৈতিক দল, যারা বিভিন্নভাবে এত দিন ধরে কর্মসূচি করে আসছি, এই সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছি, তারা সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে আজকে আমরা যৌথ ঘোষণা দেব, যার যার জায়গা থেকে।’

যুগপৎ ধারায় বৃহত্তর গণ–আন্দোলনের এক দফার যৌথ ঘোষণার দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে, ১. দেশের জনগণের ভোটাধিকার হরণকারী বর্তমান সরকারের পদত্যাগ। ২. সংসদের বিলুপ্তি, নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠন, তার অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের ব্যবস্থা। ৩. খালেদা জিয়াসহ সব রাজবন্দীর মুক্তি, মিথ্যা ও গায়েবি মামলা প্রত্যাহার।৪. ফরমায়েশি সাজা বাতিল, সংবিধান ও রাষ্ট্রব্যবস্থার গণতান্ত্রিক সংস্কারের মাধ্যমে জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তি।

মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, এ ঘোষণার মধ্য দিয়ে শুধু যুগপৎ আন্দোলনকারী দলগুলো নয়, এর বাইরে যাঁরা আছেন, এই সরকারের অন্যায়, অত্যাচার, অবিচারের, গণতন্ত্র ধ্বংসের বিরুদ্ধে যাঁরা লড়াই করছেন, তাঁদেরও আহ্বান জানাচ্ছি যে আসুন, আমরা একসঙ্গে সমবেত হয়ে গোটা দেশের মানুষদের নিয়ে একটা উত্তাল আন্দোলন গড়ে তুলি। যেন এই সরকারকে সরিয়ে জনগণের সরকার গঠন করতে পারি।’

প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘এই ঘোষণার পরপরই আপনি পদত্যাগ করুন। অন্যথায় দেশের ইতিহাস বলে দেয় পরে কিন্তু পালাবার পথও খুঁজে পাওয়া যাবে না।’

আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগের দাবিতে আজ বেলা দুইটায় এ সমাবেশ শুরু হয়। সমাবেশে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম বলেন, ‘রক্ত দিয়ে হলেও আমরা এবারের নির্বাচন প্রতিহত করব।’ দেশের মানুষ আওয়ামী লীগকে চায় না বলে দাবি করেন বিএনপির এই নেতা। সে কারণে আওয়ামী লীগের আজকের সমাবেশে মানুষ নেই বলে দাবি করেন তিনি।

বিএনপি নেতা আবদুস সালাম বলেন, ‘গত ১৪-১৫ বছরে শেখ হাসিনা কোনো কথা শোনেননি। তাই ওনার এখন কোনো কথা বলারও দরকার নাই।’ তিনি বলেন, সরকারের কিছু কর্মকর্তা এখনো আওয়ামী লীগের ভাষায় কথা বলেন। তিনি তাঁদের সতর্ক করেছেন।

এ সরকারের অধীন কোনো নির্বাচন হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান জয়নুল আবেদিনও। সমাবেশে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করলেই নির্বাচন হবে। প্রধানমন্ত্রী আপনাকে যেতেই হবে।’

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

১৮-১৯ ঢাকায় পদ যাত্রা

আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবি আদায়ে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে -বিএনপি

আপডেট সময় : ০৪:৩৫:৪০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ জুলাই ২০২৩

আজ ১২ জুলাই’২৩ বিকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির অফিসের সামনে আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবি আদায়ে সমাবেশ করেছে বিএনপি। সমাবেশ থেকে কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। প্রাথমিকভাবে ঢাকায় দুই দিন এবং সারা দেশে এক দিন পদযাত্রা করবে তারা।

ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে এবং উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক ও দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিনের সঞ্চালনায় এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল বলেন, এক দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ১৮ জুলাই মহানগরীসহ ঢাকা এবং সারা দেশের মহানগরী ও জেলা পর্যায়ে পদযাত্রা করা হবে। এ পদযাত্রার মধ্য দিয়েই তাদের পতনকে আরও ত্বরান্বিত করা হবে।

ঢাকা মহানগরীতে পদযাত্রা হবে দুই দিন। ১৮ জুলাই সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত গাবতলী থেকে যাত্রাবাড়ী পর্যন্ত পদযাত্রা করা হবে। ১৯ জুলাই সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত উত্তরার আবদুল্লাহপুর থেকে পুরান ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্ক পর্যন্ত পদযাত্রা হবে বলে জানান মির্জা ফখরুল।

এর আগে সমাবেশে বক্তব্যে বিএনপি নেতারা রক্ত দিয়ে হলেও আওয়ামী লীগ সরকারের অধীন নির্বাচন হতে না দেওয়ার ঘোষণা দেন। তাঁরা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করলেই কেবল নির্বাচন হবে।

নেতা–কর্মীদের উদ্দেশে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আপনাদের প্রত্যাশিত কর্মসূচি দিয়ে এই সরকারকে সরিয়ে নিরপেক্ষ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করব।’

শত বাধা–বিপত্তি উপেক্ষা করে লাখ লাখ মানুষ সমবেত হয়েছে উল্লেখ করেন মির্জা ফখরুল বলেন, ‘কোথাও ফয়সালা না হলে রাজপথে ফায়সালা হবে। জয় আমাদের হবেই।’

৩৬টির মতো রাজনৈতিক দল ও জোটের সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে আজকের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানান মির্জা ফখরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘সব রাজনৈতিক দল, যারা বিভিন্নভাবে এত দিন ধরে কর্মসূচি করে আসছি, এই সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছি, তারা সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে আজকে আমরা যৌথ ঘোষণা দেব, যার যার জায়গা থেকে।’

যুগপৎ ধারায় বৃহত্তর গণ–আন্দোলনের এক দফার যৌথ ঘোষণার দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে, ১. দেশের জনগণের ভোটাধিকার হরণকারী বর্তমান সরকারের পদত্যাগ। ২. সংসদের বিলুপ্তি, নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠন, তার অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের ব্যবস্থা। ৩. খালেদা জিয়াসহ সব রাজবন্দীর মুক্তি, মিথ্যা ও গায়েবি মামলা প্রত্যাহার।৪. ফরমায়েশি সাজা বাতিল, সংবিধান ও রাষ্ট্রব্যবস্থার গণতান্ত্রিক সংস্কারের মাধ্যমে জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তি।

মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, এ ঘোষণার মধ্য দিয়ে শুধু যুগপৎ আন্দোলনকারী দলগুলো নয়, এর বাইরে যাঁরা আছেন, এই সরকারের অন্যায়, অত্যাচার, অবিচারের, গণতন্ত্র ধ্বংসের বিরুদ্ধে যাঁরা লড়াই করছেন, তাঁদেরও আহ্বান জানাচ্ছি যে আসুন, আমরা একসঙ্গে সমবেত হয়ে গোটা দেশের মানুষদের নিয়ে একটা উত্তাল আন্দোলন গড়ে তুলি। যেন এই সরকারকে সরিয়ে জনগণের সরকার গঠন করতে পারি।’

প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘এই ঘোষণার পরপরই আপনি পদত্যাগ করুন। অন্যথায় দেশের ইতিহাস বলে দেয় পরে কিন্তু পালাবার পথও খুঁজে পাওয়া যাবে না।’

আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগের দাবিতে আজ বেলা দুইটায় এ সমাবেশ শুরু হয়। সমাবেশে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম বলেন, ‘রক্ত দিয়ে হলেও আমরা এবারের নির্বাচন প্রতিহত করব।’ দেশের মানুষ আওয়ামী লীগকে চায় না বলে দাবি করেন বিএনপির এই নেতা। সে কারণে আওয়ামী লীগের আজকের সমাবেশে মানুষ নেই বলে দাবি করেন তিনি।

বিএনপি নেতা আবদুস সালাম বলেন, ‘গত ১৪-১৫ বছরে শেখ হাসিনা কোনো কথা শোনেননি। তাই ওনার এখন কোনো কথা বলারও দরকার নাই।’ তিনি বলেন, সরকারের কিছু কর্মকর্তা এখনো আওয়ামী লীগের ভাষায় কথা বলেন। তিনি তাঁদের সতর্ক করেছেন।

এ সরকারের অধীন কোনো নির্বাচন হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান জয়নুল আবেদিনও। সমাবেশে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করলেই নির্বাচন হবে। প্রধানমন্ত্রী আপনাকে যেতেই হবে।’