হাত পাখার ভোট বেড়েছে দ্বিগুণ
হাতপাখার ভোট বেড়েছে দ্বিগুণ মাকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে যাবেন জাহাঙ্গীর

- আপডেট সময় : ০৪:৪৯:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ মে ২০২৩ ৭৫ বার পড়া হয়েছে
সকল জল্পনা-কল্পনআর অবসান ঘটিয়ে ২৫মে’২৩ বৃহস্পতিবার গভীর রাতে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন (গাসিক) নির্বাচনের ফল ঘোষণা করা হয়। জায়েদা খাতুন ঘড়ি মার্কা ২,৩৮,৯৩৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। আওয়ামী লীগের প্রার্থী এ্যডভোকেট আজমত উল্লাহ নৌকা মার্কায় ২,২২,৭৩৭ ভোট পেয়ে ২য় হয়েছেন। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মাওলানা গাজী আতাউর রহমান হাতপাখা প্রতীকে ৪৫, ৩৫২ ভোট পেয়ে ২য় হয়েছেন। নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমি জন্মের পর থেকেই আওয়ামী লীগ করি। আমি এখানকার পরীক্ষিত ব্যক্তি। আমি আমার মাকে নিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে যাবো। আমরা সবার সহযোগিতা নিয়ে গাজীপুরকে একটা সুন্দর শহরে পরিণত করবো।
উল্লেখ্ থাকে যে, গাজীপুরের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীরকে নির্বাচনের পূর্ব মুহূর্তে মেয়র প্রার্থী হিসেবে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়। দুদক তার বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা দেয়। তার দল আওয়ামী লীগ তাকে বহিষ্কার করে। এই চরম দুর্দিনে তার প্রিয়তমা স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে যায়। নেতা-কর্মীরা সব গা ঢাকা দিল। সব হারিয়ে যখন তিনি চারদিকে অন্ধকার দেখছিলেন, তখনই তার গর্ভ ধারিণী মা তার পাশে দাঁড়াল। কোন রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা না থাকা সত্ত্বেও একজন গৃহিনী হয়ে তিনি তার ছেলের পাশে দাঁড়িয়েছেন এবং নিজেই নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন। অবশেষে, গাজীপুরবাসী জায়েদা খাতুন কে ভোট দিয়ে গাজীপুরের মেয়র নির্বাচিত করেছেন।
ইসলামী আন্দোলনের ভোট বেড়েছে দ্বিগুণ
দলে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই নিজ দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমানকে গাসিক নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছেন। দলীয় নেতাকর্মীদের স্বতঃস্ফূর্ত ও নিরলস প্রচারণায় তারা ৪৫,৩৫২ ভোট পেয়েছে।
২০১৮ সালে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে হাত পাখার প্রাপ্ত ভোট ছিল ২৬,৩৮১ টি। মোট প্রদত্ত ভোট ৬,৪৮,৭৪৯ টি।
২০২৩ সালে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে হাত পাখার প্রাপ্ত ভোট ৪৫,৩৫২ টি, মোট প্রদত্ত ভোট ৫,৭৪,৭৬৩ টি।
পর্যালোচনায় দেখা যায়, গাজীপুরে পাঁচ বছরের ব্যবধানে মাওলানা গাজী আতাউর রহমান ৪৫,০০০++ ভোট পেয়েছেন। এটা সম্পূর্ণই তাদের দলীয় ভোট। সরকার বিরোধী সেন্টিমেন্টের যে ভোটগুলো ছিল এবং বিএনপি ও তার শরিক দলগুলোর যে ভোট ছিল তার সম্পূর্ণই জায়েদা খাতুন পেয়েছে।
সর্বোপরি বলা যায়, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের এই সাফল্য ইসলামপন্থীদের বিশাল অর্জন।