ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ গতকাল রাজধানীর হাতিরঝিলস্থ থানা কার্যালয়ে শাখা সভাপতি আব্দুস সাত্তার মুন্সী’র সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারী মোঃ রুহুল আমিনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত নবাগত সদস্য সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, ক্ষমতাসীন সরকার উন্নয়নের নামে চোখ ধাঁধানো মেগা প্রকল্পের মাধ্যমে লুটপাটের মহাযজ্ঞ তৈরী করেছে। মেগা প্রকল্প দেখিয়ে বিদেশ থেকে ঋণ এনে সেই টাকাও হরিলুট করে নিয়ে গেছে তারা। মেগা প্রকল্পগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি প্রকল্প হলো ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। বিমানবন্দর থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী পর্যন্ত মাত্র ৪৬.৭৩ কিলোমিটার। আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে উন্নত বিশ্ব যেখানে শর্ট টাইমে প্রজেক্ট শেষ করে সময়, অর্থ বাচায় এবং নাগরিক সুবিধা বৃদ্ধি করে। সেখানে আমাদের সরকার এটুকু কাজকেও ৩ ভাগে ভাগ করে নগরবাসীর ভোগান্তি বাড়িয়ে দিয়েছে। ২০১১ সালে শুরু হওয়া ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প ২০১৬ সালে কাজ শেষ করার কথা। তখন এর ব্যয় ধরা হয়েছিল ৮ হাজার ৭০৩ কোটি টাকা। কারসাজি করে প্রকল্পের টাকা খেয়ে ফেলেছে। নির্ধানিত সময়ে কাজ শেষ করতে পারেনি। তারপর সময় বৃদ্ধি ও ব্যয় বৃদ্ধি করে প্রকল্পের কাজ ২০১৬ সাল পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়। সেটিও পিছিয়ে ২০১৮ সালে করা হয়। পরে আবার ২০২২ সাল করা হয়। সর্বশেষ সময়সীমা পিছিয়ে ২০২৩ সালের জুন মাসে চালু করার কথা। আমরা আশাবাদী ছিলাম হয়তো জুনে চালু হবে। কিন্তু আমরা কি দেখতে পাচ্ছি? ২০২৩ সালের আগস্টে এসেও ৩ ভাগের ২ ভাগ কাজ এখনো বাকী রয়েছে। উন্নয়নের খোড়াখুড়ি, কাটাকাটি, পেক-কাদা, ধুলো-বালীতে নগরবাসী অতিষ্ঠ। যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। ঋণের হার বৃদ্ধি পাচ্ছে।এই ঋণের দায়ভার কে নেবে?

তিনি আরো বলেন, মাদরাসার ছাত্র শহীদ হাফেজ রেজাউল করীম হত্যার প্রতিবাদে আগামী ৫ আগষ্ট বিকাল ৩টায় বায়তুল মুকাররম উত্তর গেইটে বিক্ষোভ মিছিল সফল করার জন্য সকলে অংশগ্রহণ করতে হবে। যাতে কথিত শান্তি সমাবেশের নামে ঠান্তা মাথার খুনিদের চিহ্নিত করে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে বাধ্য হয়।