ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ এবং সেক্রেটারী মাওলানা মুহাম্মাদ আরিফুল ইসলাম সীরাত লেখক মাওলানা আসাদুজ্জাম এর ইন্তেকালে পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা ও মরহুমের জন্য মাগফিরাত কামনা করেছেন। নেতৃদ্বয় এক শোক ও মাগফিরাত বার্তায় বলেন, মাওলানা আসাদুজ্জামানের ইন্তেকালে বাংলাদেশ একজন প্রথিতযশা ও নিরব সাধককে হারালেন। তিনি একজন বিশিষ্ট লেখক ও সীরাত গবেষক ছিলেন। কলকাতার মল্লিক ব্রাদার্স থেকে মাওলানা আসাদুজ্জামানের প্রথম প্রকাশিত হয়েছিলো আলোড়ন সৃষ্টিকারী বই “সাহাবীদের জীবনকথা”। বাংলাদেশের ১৪ জন বরেণ্য মনীষীর জীবন ও অবদান তুলে ধরে রচনা করেছিলেন “ঐতিহ্যের ৫০ বছর”। “কিশোরদের প্রিয় মুহাম্মাদ সা.” সীরাত বিষয়ে তাঁর অবদান ছিল উল্লেখযোগ্য। তিনি প্রকাশ করে গেছেন সাহাবীদের জীবনকথার ২য় খন্ডটি। গত ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২ ইং রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনে আয়োজিত “কল্যাণরাষ্ট্র গঠনে রাসূলুল্লাহ সা. এর ভূমিকা’’-শীর্ষক জাতীয় সীরাতুন্নাবী সা. সম্মেলনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর আমীর হযরত পীর সাহেব চরমোনাই হুজুরের হাতে মাওলানা আসাদুজ্জামানকে সীরাত গবেষণায় উল্লেখযোগ্য অবদান রাখায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর উত্তরের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। মরহুমের ইন্তেকালে এক বিশাল শূন্যতা ও বেদনা সৃষ্টি হল জাতির জন্য। যোগ্য মনীষী ও উম্মতের রাহবার ওলামাদের সংকটের এমন নাজুক মুহুর্তে তাঁরও চলে যাওয়া উম্মতে মুসলিমার শূন্যতার পরিধি বৃদ্ধি করে দিল।

নেতৃদ্বয় বলেন, মরহুম মাওলানা আসাদুজ্জামান ইসলামী রাজনীতির প্রচার ও প্রসারে বহুমুখী খেদমত আঞ্জাম দিয়ে গেছেন। ইসলামী অনুশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এবং মানুষকে দ্বীনের পথে নিয়ে আসতে অনেক মেহনত করে গেছেন। আমরা এই নিরব সাধকের আত্মার মাগফিরাত ও জান্নাতে সুউচ্চ মাকাম কামনা করছি।

নেতৃদ্বয় আরো বলেন, কিশোরদের প্রিয় মুহাম্মদ’ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) গ্রন্থের লেখক হাফেজ মাওলানা আসআদুজ্জামান ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে ধানমন্ডির একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকাবস্থায় গতকাল রাত ৯টায় ইন্তেকাল করেছেন।

পাঠকদের অত্যন্ত প্রিয় মানুষ মাওলানা আসাদুজ্জামান লালবাগ জামেয়া কুরাআনিয়া আরাবিয়া এবং কামরাঙ্গীরচর মাদরাসায়ে নুরিয়ার সাবেক ছাত্র ছিলেন।

৯০-এর দশকের গোড়ার দিকে তিনি চট্টগ্রাম দারুল মাআরিফেরও ছাত্র ছিলেন। প্রায় ২ দশক সৌদি আরবের জেদ্দায় কর্মরত ছিলেন। মেধাদীপ্ত আলেম ও লেখক অনুবাদক ছিলেন তিনি। অত্যন্ত মিশুক ও হাসিখুশি স্বভাবের ছিলেন মাওলানা আসাদুজ্জামান।

আল্লাহ তাআলা তাকে ক্ষমা করে দিন, জান্নাতুল ফেরদৌসে জায়গা দান করুন।

মোহাম্মদপুর আল মারকাজুল ইসলামীতে গোসল, ইত্যাদি সম্পন্ন করে (সোমবার) সকাল ৯ টায় মাদারীপুর শিবচরে গ্রামের বাড়িতে তার নামাজে জানাজার সিদ্ধান্ত হয়েছে।