০৩:১৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫, ৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ভোলা-বরিশাল সেতুর দাবিতে মানববন্ধন ভোলা জেলা ওলামা তলাবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বিলুপ্ত করায় বিমানবন্দরে এফবিসিসিএফএএ’র সংবাদ সম্মেলন ক্যারিয়ার বাংলাদেশের গোল টেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত দলিপাড়া ও দেশবাসীকে ঈদ-উল-ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন আবু জাফর আলম উত্তরা ১১ নং সেক্টর ও দেশবাসীকে ঈদ-উল-ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন অধ্যক্ষ সালাউদ্দিন ভূঁইয়া সেই গুলিবিদ্ধ ইমরান কে দেখতে গেলেন লুৎফুজ্জামান বাবর একাত্তরের ন্যায় ২৪ যোদ্ধারাও পাবে সকল সুবিধা-মুস্তাফিজ সেগুন গুম-খুনের শিকার ও চব্বিশের শহীদ পরিবারকে ঈদ উপহার দিলেন বিএনপি নেতা আমিনুল হক জাতিসঙ্ঘ শূন্য বর্জ্য দিবসে প্রফেসর ইউনূসকে অভিনন্দন জানালেন তুরস্কের ফার্স্ট লেডি চীনা বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

মুক্তিযুদ্ধ চুরি হয়ে গেছে

ভোট চোরদের বড় গলা নিঃশেষ করে ফেলতে হবে-মুক্তিযোদ্ধা সম্মেলনে পীর সাহেব চরমোনাই

নিউজ ডেস্ক :
  • আপডেট সময় : ১২:১৩:৫৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ জুলাই ২০২৩ ২৮ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস অব টাইম অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা পরিষদ বাংলাদেশ আয়োজিত মুক্তিযোদ্ধা সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, দিনের ভোট রাতে চুরি করে সরকার ক্ষমতায় টিকে আছে। চোরের দশ দিন গিরস্তের এক দিন। ভোট চোরদের বড় গলা নিঃশেষ করে ফেলতে হবে। দেশে জালেম ও স্বৈরাচার জগদ্দল পাথরের মত বসে আছে। এই জালেম ও মিথ্যাচারদের বিরুদ্ধে জনগনকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। ৭১ এ মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়া মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্মকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশ, ইসলাম ও ঈমান বাঁচানোর আন্দোলন করতে হবে।

আজ শুক্রবার কাকরাইলস্থ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত মুক্তিযোদ্ধা সমম্মেলনে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেন, মুক্তিযুদ্ধ চুরি হয়ে গেছে। যারা স্বাধীনতা চায়নি তারা আজ স্বাধীনতার কথা বলে। মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণায় যা ছিলো তা আজ নেই। তিনি বলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সরকার বিরোধী আন্দোলনে একসাথে লড়াইয়ে নামবে বলে আমি আশাবাদী। এ লড়াই বাচার লড়াই। বরিশালে মুফতী ফয়জুল করীমকে অসম্মান করেছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার সেদিন যা বলেছে তা ঘৃন্য, আমি এই বক্তব্যের জন্য নিন্দা জানিয়েছি। বর্তমান সরকারের সাম্য ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করলে মুক্তিযোদ্ধারা আজ খেতে পারবে না, ভোট দিতে পারবে না কেন ?

আ স ম আব্দুর রব আরো বলেন, জীবনের শেষ বিন্দু রক্ত দিয়ে হলেও মেহনতি মানুষের অধিকার আদায় এবং জালেম শোষকের বিরুদ্ধে লড়াই করে যাবো। তিনি ইসলামী আন্দোলনের সাথে জনগণের অধিকার আদায়ে একসাথে লড়াই করার ঘোষণা দেন। এই লড়াই বাঁচার লড়াই এই লড়াইয়ে জিততে হবে। দেশের মানুষের জান মাল ইজ্জতের কোনো নিরাপত্তা নেই। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যক্ষ মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মদ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী বলেন, মুসলমানদের দেশে শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের মাধ্যমে হিন্দুত্ববাদকে প্রতিষ্ঠা করার চক্রান্ত করছে। মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন, বাংলাদেশ এখনো পুরোপুরি মুক্ত হয়নি। বাংলাদেশকে মুক্ত করতে মুক্তিযোদ্ধারা কাজ করবেন।
প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন বলেন, শেখ হাসিনা গনতন্ত্রের উন্নয়নের কথা বলেন এটা আমরা চাইনা। দেশের জনগণ উন্নয়নের গনতন্ত্র চায়। জাতীয় অস্তিত্ব আজ সঙ্কটাপন্ন। সীমান্তে ভারত বাংলাদেশিদের পাখির মতো গুলি করে হত্যা করছে। আর আওয়ামী সরকার ভারতের পদলেহন করছে। তিনি বলেন, এদেশে মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা নিয়ে দুর্নীতি হয়।

সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নাম করে একটি পক্ষ মুক্তিযুদ্ধকে সাম্প্রদায়িক রূপ দেয়ার চেষ্টা করছে। বাংলাদেশকে টিকিয়ে রাখতে হলে ইসলামী রাজনীতিকে টিকিয়ে রাখতে হবে।

ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা পরিষদ বাংলাদেশের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ আবদুল ওয়াদুদের সভাপতিত্বে এতে আরো বক্তব্য রাখেন, মাওলানা ইমতিয়াজ আলম,আলহাজ মনির হোসেন, মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ুম, মাওলানা লোকমান হোসেন জাফরী, ইসলামী আইনজীবী পরিষদ সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট শওকত আলী হাওলাদার, ইসলামী যুব আন্দোলনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আতিকুর রহমান মুজাহিদ, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ সভাপতি শরীফুল ইসলাম রিয়াদ, মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম পরিষদ সভাপতি শহিদুল ইসলাম কবির, মুহাম্মাদ নুরুজ্জামান সরকার। সম্মেলনে ১১ দফা প্রস্তাবনা উপস্থাপনা করেন ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা পরিষদ বাংলাদেশ এর সদস্য সচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ আবুল কাশেম।

সম্মেলনে বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ আবুল কাশেম কে সভাপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ আবদুল ওয়াদুদকে সহসভাপতি এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মোহাম্মদ খালেকুজ্জামানকে সেক্রেটারি জেনারেল করে ২০২৩-২০২৫ সেসনের নতুন কমিটি ঘোষণা করেন পীর সাহেব চরমোনাই ।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

মুক্তিযুদ্ধ চুরি হয়ে গেছে

ভোট চোরদের বড় গলা নিঃশেষ করে ফেলতে হবে-মুক্তিযোদ্ধা সম্মেলনে পীর সাহেব চরমোনাই

আপডেট সময় : ১২:১৩:৫৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ জুলাই ২০২৩

ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা পরিষদ বাংলাদেশ আয়োজিত মুক্তিযোদ্ধা সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, দিনের ভোট রাতে চুরি করে সরকার ক্ষমতায় টিকে আছে। চোরের দশ দিন গিরস্তের এক দিন। ভোট চোরদের বড় গলা নিঃশেষ করে ফেলতে হবে। দেশে জালেম ও স্বৈরাচার জগদ্দল পাথরের মত বসে আছে। এই জালেম ও মিথ্যাচারদের বিরুদ্ধে জনগনকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। ৭১ এ মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়া মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্মকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশ, ইসলাম ও ঈমান বাঁচানোর আন্দোলন করতে হবে।

আজ শুক্রবার কাকরাইলস্থ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত মুক্তিযোদ্ধা সমম্মেলনে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেন, মুক্তিযুদ্ধ চুরি হয়ে গেছে। যারা স্বাধীনতা চায়নি তারা আজ স্বাধীনতার কথা বলে। মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণায় যা ছিলো তা আজ নেই। তিনি বলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সরকার বিরোধী আন্দোলনে একসাথে লড়াইয়ে নামবে বলে আমি আশাবাদী। এ লড়াই বাচার লড়াই। বরিশালে মুফতী ফয়জুল করীমকে অসম্মান করেছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার সেদিন যা বলেছে তা ঘৃন্য, আমি এই বক্তব্যের জন্য নিন্দা জানিয়েছি। বর্তমান সরকারের সাম্য ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করলে মুক্তিযোদ্ধারা আজ খেতে পারবে না, ভোট দিতে পারবে না কেন ?

আ স ম আব্দুর রব আরো বলেন, জীবনের শেষ বিন্দু রক্ত দিয়ে হলেও মেহনতি মানুষের অধিকার আদায় এবং জালেম শোষকের বিরুদ্ধে লড়াই করে যাবো। তিনি ইসলামী আন্দোলনের সাথে জনগণের অধিকার আদায়ে একসাথে লড়াই করার ঘোষণা দেন। এই লড়াই বাঁচার লড়াই এই লড়াইয়ে জিততে হবে। দেশের মানুষের জান মাল ইজ্জতের কোনো নিরাপত্তা নেই। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যক্ষ মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মদ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী বলেন, মুসলমানদের দেশে শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের মাধ্যমে হিন্দুত্ববাদকে প্রতিষ্ঠা করার চক্রান্ত করছে। মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন, বাংলাদেশ এখনো পুরোপুরি মুক্ত হয়নি। বাংলাদেশকে মুক্ত করতে মুক্তিযোদ্ধারা কাজ করবেন।
প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন বলেন, শেখ হাসিনা গনতন্ত্রের উন্নয়নের কথা বলেন এটা আমরা চাইনা। দেশের জনগণ উন্নয়নের গনতন্ত্র চায়। জাতীয় অস্তিত্ব আজ সঙ্কটাপন্ন। সীমান্তে ভারত বাংলাদেশিদের পাখির মতো গুলি করে হত্যা করছে। আর আওয়ামী সরকার ভারতের পদলেহন করছে। তিনি বলেন, এদেশে মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা নিয়ে দুর্নীতি হয়।

সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নাম করে একটি পক্ষ মুক্তিযুদ্ধকে সাম্প্রদায়িক রূপ দেয়ার চেষ্টা করছে। বাংলাদেশকে টিকিয়ে রাখতে হলে ইসলামী রাজনীতিকে টিকিয়ে রাখতে হবে।

ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা পরিষদ বাংলাদেশের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ আবদুল ওয়াদুদের সভাপতিত্বে এতে আরো বক্তব্য রাখেন, মাওলানা ইমতিয়াজ আলম,আলহাজ মনির হোসেন, মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ুম, মাওলানা লোকমান হোসেন জাফরী, ইসলামী আইনজীবী পরিষদ সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট শওকত আলী হাওলাদার, ইসলামী যুব আন্দোলনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আতিকুর রহমান মুজাহিদ, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ সভাপতি শরীফুল ইসলাম রিয়াদ, মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম পরিষদ সভাপতি শহিদুল ইসলাম কবির, মুহাম্মাদ নুরুজ্জামান সরকার। সম্মেলনে ১১ দফা প্রস্তাবনা উপস্থাপনা করেন ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা পরিষদ বাংলাদেশ এর সদস্য সচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ আবুল কাশেম।

সম্মেলনে বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ আবুল কাশেম কে সভাপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ আবদুল ওয়াদুদকে সহসভাপতি এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মোহাম্মদ খালেকুজ্জামানকে সেক্রেটারি জেনারেল করে ২০২৩-২০২৫ সেসনের নতুন কমিটি ঘোষণা করেন পীর সাহেব চরমোনাই ।