০৩:২৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫, ৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ভোলা-বরিশাল সেতুর দাবিতে মানববন্ধন ভোলা জেলা ওলামা তলাবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বিলুপ্ত করায় বিমানবন্দরে এফবিসিসিএফএএ’র সংবাদ সম্মেলন ক্যারিয়ার বাংলাদেশের গোল টেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত দলিপাড়া ও দেশবাসীকে ঈদ-উল-ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন আবু জাফর আলম উত্তরা ১১ নং সেক্টর ও দেশবাসীকে ঈদ-উল-ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন অধ্যক্ষ সালাউদ্দিন ভূঁইয়া সেই গুলিবিদ্ধ ইমরান কে দেখতে গেলেন লুৎফুজ্জামান বাবর একাত্তরের ন্যায় ২৪ যোদ্ধারাও পাবে সকল সুবিধা-মুস্তাফিজ সেগুন গুম-খুনের শিকার ও চব্বিশের শহীদ পরিবারকে ঈদ উপহার দিলেন বিএনপি নেতা আমিনুল হক জাতিসঙ্ঘ শূন্য বর্জ্য দিবসে প্রফেসর ইউনূসকে অভিনন্দন জানালেন তুরস্কের ফার্স্ট লেডি চীনা বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

নতুন আলাপ

গণতন্ত্র কি স্বতন্ত্র ধর্ম?

নিউজ ডেস্ক :
  • আপডেট সময় : ০৩:০৫:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ জুন ২০২৩ ৪৬ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস অব টাইম অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

মোঃ মাছ্উদুর রহমান

নির্বাচনের বাজারে নতুন আলাপ এসেছে গণতন্ত্র স্বতন্ত্র ধর্ম কিনা? মৌলিকভাবে গণতন্ত্র আইডোলজি না বরং ক্ষমতায় যাওয়ার একটা ফর্মুলা। এখানে যে যার মতন করে আইডোলজি ঢুকায়। ব্যখ্যা দেয়। গণতন্ত্রের আসলে সুস্পষ্ট কোন একক রূপ নেই।বহুরুপী এক বায়বী জিনিসের নাম গণতন্ত্র। আর গণতন্ত্রের কিছু আইডোলজি আছে যার সাথে ইসলামের মিল আছে। তাই বাস্তববাদী আলেমরা কখনোই গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে সরাসরি অবস্থানে যান নাই। হ্যাঁ গণতন্ত্রের অনেক আইডোলজি যা পশ্চিমা সমাজ থেকে ধার করা, তা নিয়ে বহু আলিম সমালোচনা করেছেন। স্বয়ং পশ্চিমেই এটা নিয়ে বহু সমালোচনা রয়েছে। কিন্তু এখানে যে গণতন্ত্রের বয়ান সেটা ভিন্ন প্রসঙ্গ। আপনাদের কাছে এটাকে তত্ত্বীয় আলাপ মনে হলেও আদতে এটা একটা সিলেক্টিভ মারামারি। এ আলাপের টার্গেট কখনো গণতন্ত্র বা গণতন্ত্রের রক্ষকরা না। এটার টার্গেট এদেশের ইসলামপন্থী রাজনৈতিক দলগুলো ও তাদের কর্মীরা। আরো স্পষ্ট করে বললে এদেশের উল্লেখযোগ্য, গ্রহণযোগ্য, সর্বজনশ্রদ্ধেয় উলামায়ে কিরাম ও তাঁদের অনুসরীগণ। এদের আলাপ থেকে বুঝবেন এ দেশে গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা, রক্ষা ও উদ্ধার যেন এই উলামায়ে কিরামের হাত ধরেই হয়েছে ও হচ্ছে।

আইডিওলজি হিসেবে গণতন্ত্রের বিপক্ষে আলোচনা জারি রাখা জরুরী। এটা প্রতিটি ইসলামী রাজনৈতিক দলের সিলেবাসেই আছে। কোন ইসলামী দল গনতন্ত্রকে আইডোলজি হিসেবে মেনে থাকলেও একটা টুল হিসেবে মানে। তবে তাদের কাছে গনতন্ত্রের আলাদা সংজ্ঞা আছে। আদর্শ হিসেবে ইসলামী সিয়াসাত (থিলাফত ভিত্তিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা) ও অন্যান্য মতবাদের মাঝে ক্রিটিক্যাল আলোচনা/সমালোচনা ইসলামী দলগুলোর অভ্যন্তরেই সবচেয়ে বেশি হয়। গণতন্ত্রমনা দলে হয় না। এমন কোন ইসলামী সংগঠন নেই, যাদের সিলেবাসে এবং কর্মশালায় এই বিষয়টা নিয়ে আলোচনা হয় না। তারপরও দেখবেন ওই লোকদের গণতন্ত্রের চৌদ্দগোষ্ঠী উদ্ধারের মূল টার্গেট হয়ে থাকে এই ইসলামী দলগুলো ও তাদের কর্মীরাই। এটার কারণ কী?

কারণ হলো দেশে গণতন্ত্রের সুশীতল হাওয়া বয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ বিশ্বমঞ্চে গণতন্ত্রের রোল মডেল হিসেবে প্রশংসিত হচ্ছে। এখানের পথেঘাটে, নদীর পাড়ে, চা বিক্রির টং দোকানে শুধু গণতন্ত্র আর গণতন্ত্র পাওয়া যাচ্ছে। স্থানীয় বিভিন্ন বাজারেও কেজিতে গণতন্ত্র বিক্রি হচ্ছে। এই যে সর্বব্যাপী গণতন্ত্রায়ন, এটার মূল অনুঘটক ইসলামপন্থীরা।গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা ও উদ্ধার এই ইসলামিস্ট রাজনৈতিকদের হাত ধরে হয়।গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও উদ্ধার করায় অবশ্যই তাদের বড় ভুমিকা আছে। দেশের অগণতান্ত্রিক ও স্বৈরাচারী সরকারগুলোকে হটিয়ে ইসলামপন্থীরা গণতন্ত্রের মুক্তমঞ্চে সবচেয়ে বেশী রক্ত ও গাম ঝড়ানেওয়ালা। এই পরিস্থিতি থেকে দেশকে তথা দ্বীন ও ধর্মকে উদ্ধার করতে এই মুহূর্তে প্রয়োজন বাংলাদেশ ইসলামপন্থী রাজনৈতিক দলগুলোর। কিন্তু নির্বাচন, সরকার গঠন ও রাষ্ট্র পরিচালানায় সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে যায় আবার ইসলামপন্থী রাজনৈতিক দলগুলো।ব্যাপারটা কি অদ্ভুত না!

একজন ভাই আসলেও সুন্দর একটা কথা বলেন। যদি দেশে গণতন্ত্র ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা পেয়ে যায় কারো মাধ্যমে। তাহলে এই ইসলামপন্থী রাজনৈতিক দলগুলোর খেলা শেষ। তখন তাদেরকে চরমপন্থী অভিদায় সিক্ত করা হয়। দেশের যে কোন অস্থিরতায় ইসলামপন্থী রাজনৈতিক দলগুলোকে দোষারোপ করে। অথচ সরকারের উপর জনগোষ্ঠীর ক্ষোভ উদগিরণ জারি রাখতে ইসলামপন্থীদের সিড়ি হিসেবে ব্যবহার করা হয়।। ফলে তাদের জন্য আওয়ামীলীগ ও সেক্যুলার দলগুলোর দুঃশাসন অব্যাহত থাকে আবশ্যিকভাবে। স্থিতিশীল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় ইসলামপন্থীদের চলমান রাজনীতি আসলেই বাধা এ ক্ষেত্রে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

নতুন আলাপ

গণতন্ত্র কি স্বতন্ত্র ধর্ম?

আপডেট সময় : ০৩:০৫:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ জুন ২০২৩

মোঃ মাছ্উদুর রহমান

নির্বাচনের বাজারে নতুন আলাপ এসেছে গণতন্ত্র স্বতন্ত্র ধর্ম কিনা? মৌলিকভাবে গণতন্ত্র আইডোলজি না বরং ক্ষমতায় যাওয়ার একটা ফর্মুলা। এখানে যে যার মতন করে আইডোলজি ঢুকায়। ব্যখ্যা দেয়। গণতন্ত্রের আসলে সুস্পষ্ট কোন একক রূপ নেই।বহুরুপী এক বায়বী জিনিসের নাম গণতন্ত্র। আর গণতন্ত্রের কিছু আইডোলজি আছে যার সাথে ইসলামের মিল আছে। তাই বাস্তববাদী আলেমরা কখনোই গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে সরাসরি অবস্থানে যান নাই। হ্যাঁ গণতন্ত্রের অনেক আইডোলজি যা পশ্চিমা সমাজ থেকে ধার করা, তা নিয়ে বহু আলিম সমালোচনা করেছেন। স্বয়ং পশ্চিমেই এটা নিয়ে বহু সমালোচনা রয়েছে। কিন্তু এখানে যে গণতন্ত্রের বয়ান সেটা ভিন্ন প্রসঙ্গ। আপনাদের কাছে এটাকে তত্ত্বীয় আলাপ মনে হলেও আদতে এটা একটা সিলেক্টিভ মারামারি। এ আলাপের টার্গেট কখনো গণতন্ত্র বা গণতন্ত্রের রক্ষকরা না। এটার টার্গেট এদেশের ইসলামপন্থী রাজনৈতিক দলগুলো ও তাদের কর্মীরা। আরো স্পষ্ট করে বললে এদেশের উল্লেখযোগ্য, গ্রহণযোগ্য, সর্বজনশ্রদ্ধেয় উলামায়ে কিরাম ও তাঁদের অনুসরীগণ। এদের আলাপ থেকে বুঝবেন এ দেশে গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা, রক্ষা ও উদ্ধার যেন এই উলামায়ে কিরামের হাত ধরেই হয়েছে ও হচ্ছে।

আইডিওলজি হিসেবে গণতন্ত্রের বিপক্ষে আলোচনা জারি রাখা জরুরী। এটা প্রতিটি ইসলামী রাজনৈতিক দলের সিলেবাসেই আছে। কোন ইসলামী দল গনতন্ত্রকে আইডোলজি হিসেবে মেনে থাকলেও একটা টুল হিসেবে মানে। তবে তাদের কাছে গনতন্ত্রের আলাদা সংজ্ঞা আছে। আদর্শ হিসেবে ইসলামী সিয়াসাত (থিলাফত ভিত্তিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা) ও অন্যান্য মতবাদের মাঝে ক্রিটিক্যাল আলোচনা/সমালোচনা ইসলামী দলগুলোর অভ্যন্তরেই সবচেয়ে বেশি হয়। গণতন্ত্রমনা দলে হয় না। এমন কোন ইসলামী সংগঠন নেই, যাদের সিলেবাসে এবং কর্মশালায় এই বিষয়টা নিয়ে আলোচনা হয় না। তারপরও দেখবেন ওই লোকদের গণতন্ত্রের চৌদ্দগোষ্ঠী উদ্ধারের মূল টার্গেট হয়ে থাকে এই ইসলামী দলগুলো ও তাদের কর্মীরাই। এটার কারণ কী?

কারণ হলো দেশে গণতন্ত্রের সুশীতল হাওয়া বয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ বিশ্বমঞ্চে গণতন্ত্রের রোল মডেল হিসেবে প্রশংসিত হচ্ছে। এখানের পথেঘাটে, নদীর পাড়ে, চা বিক্রির টং দোকানে শুধু গণতন্ত্র আর গণতন্ত্র পাওয়া যাচ্ছে। স্থানীয় বিভিন্ন বাজারেও কেজিতে গণতন্ত্র বিক্রি হচ্ছে। এই যে সর্বব্যাপী গণতন্ত্রায়ন, এটার মূল অনুঘটক ইসলামপন্থীরা।গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা ও উদ্ধার এই ইসলামিস্ট রাজনৈতিকদের হাত ধরে হয়।গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও উদ্ধার করায় অবশ্যই তাদের বড় ভুমিকা আছে। দেশের অগণতান্ত্রিক ও স্বৈরাচারী সরকারগুলোকে হটিয়ে ইসলামপন্থীরা গণতন্ত্রের মুক্তমঞ্চে সবচেয়ে বেশী রক্ত ও গাম ঝড়ানেওয়ালা। এই পরিস্থিতি থেকে দেশকে তথা দ্বীন ও ধর্মকে উদ্ধার করতে এই মুহূর্তে প্রয়োজন বাংলাদেশ ইসলামপন্থী রাজনৈতিক দলগুলোর। কিন্তু নির্বাচন, সরকার গঠন ও রাষ্ট্র পরিচালানায় সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে যায় আবার ইসলামপন্থী রাজনৈতিক দলগুলো।ব্যাপারটা কি অদ্ভুত না!

একজন ভাই আসলেও সুন্দর একটা কথা বলেন। যদি দেশে গণতন্ত্র ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা পেয়ে যায় কারো মাধ্যমে। তাহলে এই ইসলামপন্থী রাজনৈতিক দলগুলোর খেলা শেষ। তখন তাদেরকে চরমপন্থী অভিদায় সিক্ত করা হয়। দেশের যে কোন অস্থিরতায় ইসলামপন্থী রাজনৈতিক দলগুলোকে দোষারোপ করে। অথচ সরকারের উপর জনগোষ্ঠীর ক্ষোভ উদগিরণ জারি রাখতে ইসলামপন্থীদের সিড়ি হিসেবে ব্যবহার করা হয়।। ফলে তাদের জন্য আওয়ামীলীগ ও সেক্যুলার দলগুলোর দুঃশাসন অব্যাহত থাকে আবশ্যিকভাবে। স্থিতিশীল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় ইসলামপন্থীদের চলমান রাজনীতি আসলেই বাধা এ ক্ষেত্রে।