০৭:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ জুন ২০২৫, ২৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ভোলা-বরিশাল সেতুর দাবিতে মানববন্ধন ভোলা জেলা ওলামা তলাবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বিলুপ্ত করায় বিমানবন্দরে এফবিসিসিএফএএ’র সংবাদ সম্মেলন ক্যারিয়ার বাংলাদেশের গোল টেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত দলিপাড়া ও দেশবাসীকে ঈদ-উল-ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন আবু জাফর আলম উত্তরা ১১ নং সেক্টর ও দেশবাসীকে ঈদ-উল-ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন অধ্যক্ষ সালাউদ্দিন ভূঁইয়া সেই গুলিবিদ্ধ ইমরান কে দেখতে গেলেন লুৎফুজ্জামান বাবর একাত্তরের ন্যায় ২৪ যোদ্ধারাও পাবে সকল সুবিধা-মুস্তাফিজ সেগুন গুম-খুনের শিকার ও চব্বিশের শহীদ পরিবারকে ঈদ উপহার দিলেন বিএনপি নেতা আমিনুল হক জাতিসঙ্ঘ শূন্য বর্জ্য দিবসে প্রফেসর ইউনূসকে অভিনন্দন জানালেন তুরস্কের ফার্স্ট লেডি চীনা বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

নৌকার বিজয় ছিল সহজ ধারাপাত কিন্তু.....

আওয়ামী লীগের সামনে কঠিন পরীক্ষা

নিউজ ডেস্ক :
  • আপডেট সময় : ০২:০৮:০২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ মে ২০২৩ ৩৯ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস অব টাইম অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

জাতীয় নির্বাচনের প্রায় আট মাস আগে অনুষ্ঠিত হলো গাজীপুর সিটি নির্বাচন। বৃহত্তম এই সিটির নির্বাচনের ফলাফল পাল্টে দিয়েছে আওয়ামী লীগের হিসাব-নিকাশ। দল থেকে বহিস্কৃত, স্থানীয়ভাবে কোণঠাসা করা সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীরের মা ষোল হাজার ভোটে দলীয় প্রার্থী এ্যাডভোকেট আজমত উল্লাহকে হারিয়ে বিজয়ী হয়েছেন।দলের ভিতর ঐক্য না থাকলে, সবাইকে ভোটের মাঠে নামাতে না পারলে আগামী সংসদ নির্বাচনে কী প্রভাব ফেলতে পারে তার আগাম বার্তা দিয়েছে গাজীপুর সিটি নির্বাচন।মাঠের ত্যাগী পরীক্ষিত নেতা আজমত উল্লাহকে পাশকাটিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী জায়েদা খাতুনকে ভোট দিয়েছেন এবং জাহাঙ্গীর আলমের প্রতি সমর্থন দিয়েছেন ভোটাররা।এর মাধ্যমে একটি বার্তা পরিস্কার হয়ে গেল যে, নির্বাচনে কেমন ব্যক্তিকে মনোয়ন দিতে হবে। এমন পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে সামনে আওয়ামী লীগের জন্য কঠিন পরীক্ষা অপেক্ষা করছে।দলের ভিতর বিভক্তি, আন্তঃকলহ, হাইব্রিড নেতাদের পাদুর্ভাব, দুর্নীতিবাজ, সন্ত্রাসীদের দৌড়াত্ব থাকলে আওয়ামী লীগের জন্য গাজীপুরের মতই পরিণতি অপেক্ষা করছে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা মনে করেছিলেন জাহাঙ্গীর ভোটের মাঠে থাকলে ফ্যাক্টর হতে পারেন। পারিবারিক ও রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করা হয় তাকে। নিরুপায় হয়ে মাকে স্বতন্ত্র প্রার্থী করেন জাহাঙ্গীর। তার মাকে কোনভাবে গোনায় ধরেনি কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ।তাছাড়া ইসলামী আন্দোলনের হেভিওয়েট প্রার্থী থাকলেও বিএনপির প্রার্থী ছিলনা গাজীপুরে।২০১৮ সালে বিএনপির প্রার্থীকে মাঠছাড়া করা হয়েছিল। শক্ত প্রতিপক্ষহীন ছিল এই নির্বাচন।যেহেতু বিরোধী দেলর প্রার্থী ছিলনা, তাই দলীয়ভাবে অনুগত প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হস্তক্ষেপেরও প্রয়োজন হয়নি।আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরাও বাড়াবাড়ি করেনি।সব মিলিয়ে নৌকার বিজয় ছিল সহজ ধারাপাত।কিন্তু ফলাফল বলে দিচ্ছে অন্য কথা।নৌকার প্রার্থীর পক্ষে কাজ করতে কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজমের নেতৃত্বে ২৮ সদস্য বিশিষ্ট কেন্দ্রীয় টিমের মাধ্যমে প্রচারণা চালানোর পরও দলীয় প্রার্থীর পরাজয় ভাবিয়ে তুলেছে আওয়ামী গড়ানার বুদ্ধিজীবী ও সুবিধাবাধী নেতাদের। কোনভাবে সুষ্ঠু নির্বাচন হলে তাদের সামনে অন্ধকার ছাড়া আর কিছুই নেই।
নির্বাচন কমিশন কঠোর থাকায় বড় ধরণের কোন অনিয়ম হয়নি। ভোটের আগের দিন ‘নৌকায় ভোট না দিলে কেন্দ্রে আসা নিষেধ’ এমন ঘোষণা দেয়া এক কাউন্সিলরের প্রার্থীতা বাতিল করে কঠোর অবস্থান জানান দিয়েছেল ইসি।তার সাথে যোগ হয়েছে সদ্ধপ্রসুত মার্কিন ভিসা নীতি।জাতীয় নির্বাচনের আগে আরো অনেক চ্যালেঞ্জ আসবে আওয়ামী লীগের সামনে।সরকারদলীয় নেতা-কর্মীদের মাঝে হতাশার ছাপ ভেসে উঠছে এখনই।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

নৌকার বিজয় ছিল সহজ ধারাপাত কিন্তু.....

আওয়ামী লীগের সামনে কঠিন পরীক্ষা

আপডেট সময় : ০২:০৮:০২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ মে ২০২৩

জাতীয় নির্বাচনের প্রায় আট মাস আগে অনুষ্ঠিত হলো গাজীপুর সিটি নির্বাচন। বৃহত্তম এই সিটির নির্বাচনের ফলাফল পাল্টে দিয়েছে আওয়ামী লীগের হিসাব-নিকাশ। দল থেকে বহিস্কৃত, স্থানীয়ভাবে কোণঠাসা করা সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীরের মা ষোল হাজার ভোটে দলীয় প্রার্থী এ্যাডভোকেট আজমত উল্লাহকে হারিয়ে বিজয়ী হয়েছেন।দলের ভিতর ঐক্য না থাকলে, সবাইকে ভোটের মাঠে নামাতে না পারলে আগামী সংসদ নির্বাচনে কী প্রভাব ফেলতে পারে তার আগাম বার্তা দিয়েছে গাজীপুর সিটি নির্বাচন।মাঠের ত্যাগী পরীক্ষিত নেতা আজমত উল্লাহকে পাশকাটিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী জায়েদা খাতুনকে ভোট দিয়েছেন এবং জাহাঙ্গীর আলমের প্রতি সমর্থন দিয়েছেন ভোটাররা।এর মাধ্যমে একটি বার্তা পরিস্কার হয়ে গেল যে, নির্বাচনে কেমন ব্যক্তিকে মনোয়ন দিতে হবে। এমন পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে সামনে আওয়ামী লীগের জন্য কঠিন পরীক্ষা অপেক্ষা করছে।দলের ভিতর বিভক্তি, আন্তঃকলহ, হাইব্রিড নেতাদের পাদুর্ভাব, দুর্নীতিবাজ, সন্ত্রাসীদের দৌড়াত্ব থাকলে আওয়ামী লীগের জন্য গাজীপুরের মতই পরিণতি অপেক্ষা করছে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা মনে করেছিলেন জাহাঙ্গীর ভোটের মাঠে থাকলে ফ্যাক্টর হতে পারেন। পারিবারিক ও রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করা হয় তাকে। নিরুপায় হয়ে মাকে স্বতন্ত্র প্রার্থী করেন জাহাঙ্গীর। তার মাকে কোনভাবে গোনায় ধরেনি কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ।তাছাড়া ইসলামী আন্দোলনের হেভিওয়েট প্রার্থী থাকলেও বিএনপির প্রার্থী ছিলনা গাজীপুরে।২০১৮ সালে বিএনপির প্রার্থীকে মাঠছাড়া করা হয়েছিল। শক্ত প্রতিপক্ষহীন ছিল এই নির্বাচন।যেহেতু বিরোধী দেলর প্রার্থী ছিলনা, তাই দলীয়ভাবে অনুগত প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হস্তক্ষেপেরও প্রয়োজন হয়নি।আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরাও বাড়াবাড়ি করেনি।সব মিলিয়ে নৌকার বিজয় ছিল সহজ ধারাপাত।কিন্তু ফলাফল বলে দিচ্ছে অন্য কথা।নৌকার প্রার্থীর পক্ষে কাজ করতে কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজমের নেতৃত্বে ২৮ সদস্য বিশিষ্ট কেন্দ্রীয় টিমের মাধ্যমে প্রচারণা চালানোর পরও দলীয় প্রার্থীর পরাজয় ভাবিয়ে তুলেছে আওয়ামী গড়ানার বুদ্ধিজীবী ও সুবিধাবাধী নেতাদের। কোনভাবে সুষ্ঠু নির্বাচন হলে তাদের সামনে অন্ধকার ছাড়া আর কিছুই নেই।
নির্বাচন কমিশন কঠোর থাকায় বড় ধরণের কোন অনিয়ম হয়নি। ভোটের আগের দিন ‘নৌকায় ভোট না দিলে কেন্দ্রে আসা নিষেধ’ এমন ঘোষণা দেয়া এক কাউন্সিলরের প্রার্থীতা বাতিল করে কঠোর অবস্থান জানান দিয়েছেল ইসি।তার সাথে যোগ হয়েছে সদ্ধপ্রসুত মার্কিন ভিসা নীতি।জাতীয় নির্বাচনের আগে আরো অনেক চ্যালেঞ্জ আসবে আওয়ামী লীগের সামনে।সরকারদলীয় নেতা-কর্মীদের মাঝে হতাশার ছাপ ভেসে উঠছে এখনই।