০৫:৫০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ জুন ২০২৫, ২৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ভোলা-বরিশাল সেতুর দাবিতে মানববন্ধন ভোলা জেলা ওলামা তলাবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বিলুপ্ত করায় বিমানবন্দরে এফবিসিসিএফএএ’র সংবাদ সম্মেলন ক্যারিয়ার বাংলাদেশের গোল টেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত দলিপাড়া ও দেশবাসীকে ঈদ-উল-ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন আবু জাফর আলম উত্তরা ১১ নং সেক্টর ও দেশবাসীকে ঈদ-উল-ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন অধ্যক্ষ সালাউদ্দিন ভূঁইয়া সেই গুলিবিদ্ধ ইমরান কে দেখতে গেলেন লুৎফুজ্জামান বাবর একাত্তরের ন্যায় ২৪ যোদ্ধারাও পাবে সকল সুবিধা-মুস্তাফিজ সেগুন গুম-খুনের শিকার ও চব্বিশের শহীদ পরিবারকে ঈদ উপহার দিলেন বিএনপি নেতা আমিনুল হক জাতিসঙ্ঘ শূন্য বর্জ্য দিবসে প্রফেসর ইউনূসকে অভিনন্দন জানালেন তুরস্কের ফার্স্ট লেডি চীনা বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

আল্লামা সাঈদীর শূন্যতা কোনোদিন পূরণ হবে না : অধ্যাপক মুজিবুর রহমান

নিউজ ডেস্ক :
  • আপডেট সময় : ০৩:৩৮:১৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৩ ২৮ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস অব টাইম অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আল্লামা সাঈদী সরকারের অবিচারের শিকার হয়েছেন উল্লেখ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমীর, সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেছেন, তার শূন্যতা কোনোদিন পূরণ হবে না। তিনি দুই দুইবারের এমপি ছিলেন। কিন্তু কারাভ্যান্তরে সেই ধরনের চিকিৎসা পেতেন না। তার হার্ট এ্যটাক হয়েছিল, ইতিপূর্বে বারডেম হাসপাতালে ৫টি রিং পড়ানো হয়েছিল। নিয়মানুযায়ী আবারো হার্ট এ্যাটাকের পর তাকে সেই বারডেম হাসপাতালেই নেয়ার কথা ছিল। তাকে সেটা না করে সময়ক্ষেপন করা হয়।

তিনি অভিযোগ করেন, তার পরিবারের সদস্যদের ধারে কাছেও যেতে দেয়া হয়নি। এমনকি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত পরিবারের সদস্যদের দেখা করারই সুযোগ দেয়া হয়নি। কতটা অমানবিক কাজ তারা করেছে। জটিল রোগী হলে হাসপাতালে সাধারণত মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়। কিন্তু তার ব্যাপারে সেটা করা হয়নি। দ্রুত পরীক্ষা নিরীক্ষা করার ক্ষেত্রেও অবহেলা করা হয়েছে। এর সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া উচিত, যেন ভবিষ্যতে কোন রোগীর ক্ষেত্রে এ রকম করা না হয় ।

আজ শুক্রবার সকালে রাজধানীর একটি মিলনায়তনে জামায়াতে ইসলামী, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ আয়োজিত দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। জামায়াতের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর, আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন মুফাসিসরে কুরআন, কারা নির্যাতিত মজলুম জননেতা আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর রূহের মাগফেরাত কামনায় এই দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। মাহফিলে অনলাইনে দেশে-বিদেশ থেকে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী, সুধী, শুভানুধ্যায়ীরা অংশগ্রহন করেন। কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর নূরুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত দোয়া মাহফিলে বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক এডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন মাওলানা যাইনুল আবেদীন, সাইয়্যেদ কামালুদ্দিন জাফরী। বক্তব্য রাখেন ড. মাওলানা খলিলুর রহমান মাদানী, আল্লামা সাঈদীর ছেলে শামীম সাঈদী ও মাসুদ সাঈদী, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর আবদুস সবুর ফকির। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, নায়েবে আমীর এডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন, সহকারী সেক্রেটারি দেলওয়ার হোসাইন, কামাল হোসাইন, কর্মপরিষদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার শেখ আল আমিন, মাওলানা আবু ফাহিম, আবদুস সালাম, ড. মোবাররক হোসাইন, সৈয়দ ইবনে হোসাইন প্রমুখ।

অধ্যাপক মুজিবুর রহমান তার বক্তব্যে বলেন, আল্লামা সাঈদী আজীবন শাহাদাতের তামান্না লালন করতেন। তবে তিনি চেয়েছিলেন, কুরআনের তাফসিরের ময়দানে ফিরে আসতে এবং তাফসির করতে করতে মৃত্যবরণ করতে। তিনি বলেন, তিনি কুরআনের জন্য পাগল ছিলেন। কুরআনী ব্যবস্থা চালুর জন্য পেরেসানীতে থাকতেন। যারাই তার কাছে যেতো, সবাইকে কুরআন পড়তে বলতেন, নামাজ পড়তে বলতেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি এই চেষ্টা অব্যাহত রেখেছিলেন। তাকে নজিরবিহীনভাবে অমৃত্যু কারাদন্ড দেয়া হয়েছিল। মৃত্যুর পর লাশের মালিক তো তার পরিবারের সদস্যরা, পুলিশ তো না। তার লাশটি স্ত্রীকে পর্যন্ত দেখতে দেয়া হয়নি। পুলিশ লাশ পিরোজপুর নিয়ে দ্রুত দাফনের জন্য চাপ দিয়েছে। এটা দুর্ভাগ্যজনক। মাওলানা আজ আর আমাদের মাঝে নেই। তিনি যেই কুরআনের জন্য আমৃত্য কাজ করে গেছেন, আজকে আমাদের শপথ নিতে হবে, যতদিন পর্যন্ত কুরআনের রাজ কায়েম না হবে, ততদিন পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন থামবে না।

সভাপতির বক্তব্যে নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, আল্লামা সাঈদী অবিচার ও জুলুমের শিকার। মিথ্যা অভিযোগে তিনি ১৩ বছর কারাগারে বন্ধি ছিলেন। তাকে বিনা চিকিৎসায় ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়া হয়েছে। এই অবিচারের বিচার আমরা আল্লাহর কাছে চাই। আমরা বিশ্বাস করি, আল্লাহ তায়ালা হয়তো দুনিয়াতে বিচার করবেন, না হলে আখেরাতে জালেমের বিচার অবশ্যই হবে। তিনি বলেন, মরহুম সাঈদী কোটি কোটি মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন। কেয়ামত পর্যন্ত তা জারি থাকবে। আজকে আমাদের শপথ নিতে হবে, কুরআনের সমাজ বিনির্মানে আমৃত্যু কাজ করে যাবো।


নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

আল্লামা সাঈদীর শূন্যতা কোনোদিন পূরণ হবে না : অধ্যাপক মুজিবুর রহমান

আপডেট সময় : ০৩:৩৮:১৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৩

আল্লামা সাঈদী সরকারের অবিচারের শিকার হয়েছেন উল্লেখ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমীর, সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেছেন, তার শূন্যতা কোনোদিন পূরণ হবে না। তিনি দুই দুইবারের এমপি ছিলেন। কিন্তু কারাভ্যান্তরে সেই ধরনের চিকিৎসা পেতেন না। তার হার্ট এ্যটাক হয়েছিল, ইতিপূর্বে বারডেম হাসপাতালে ৫টি রিং পড়ানো হয়েছিল। নিয়মানুযায়ী আবারো হার্ট এ্যাটাকের পর তাকে সেই বারডেম হাসপাতালেই নেয়ার কথা ছিল। তাকে সেটা না করে সময়ক্ষেপন করা হয়।

তিনি অভিযোগ করেন, তার পরিবারের সদস্যদের ধারে কাছেও যেতে দেয়া হয়নি। এমনকি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত পরিবারের সদস্যদের দেখা করারই সুযোগ দেয়া হয়নি। কতটা অমানবিক কাজ তারা করেছে। জটিল রোগী হলে হাসপাতালে সাধারণত মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়। কিন্তু তার ব্যাপারে সেটা করা হয়নি। দ্রুত পরীক্ষা নিরীক্ষা করার ক্ষেত্রেও অবহেলা করা হয়েছে। এর সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া উচিত, যেন ভবিষ্যতে কোন রোগীর ক্ষেত্রে এ রকম করা না হয় ।

আজ শুক্রবার সকালে রাজধানীর একটি মিলনায়তনে জামায়াতে ইসলামী, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ আয়োজিত দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। জামায়াতের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর, আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন মুফাসিসরে কুরআন, কারা নির্যাতিত মজলুম জননেতা আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর রূহের মাগফেরাত কামনায় এই দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। মাহফিলে অনলাইনে দেশে-বিদেশ থেকে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী, সুধী, শুভানুধ্যায়ীরা অংশগ্রহন করেন। কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর নূরুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত দোয়া মাহফিলে বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক এডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন মাওলানা যাইনুল আবেদীন, সাইয়্যেদ কামালুদ্দিন জাফরী। বক্তব্য রাখেন ড. মাওলানা খলিলুর রহমান মাদানী, আল্লামা সাঈদীর ছেলে শামীম সাঈদী ও মাসুদ সাঈদী, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর আবদুস সবুর ফকির। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, নায়েবে আমীর এডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন, সহকারী সেক্রেটারি দেলওয়ার হোসাইন, কামাল হোসাইন, কর্মপরিষদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার শেখ আল আমিন, মাওলানা আবু ফাহিম, আবদুস সালাম, ড. মোবাররক হোসাইন, সৈয়দ ইবনে হোসাইন প্রমুখ।

অধ্যাপক মুজিবুর রহমান তার বক্তব্যে বলেন, আল্লামা সাঈদী আজীবন শাহাদাতের তামান্না লালন করতেন। তবে তিনি চেয়েছিলেন, কুরআনের তাফসিরের ময়দানে ফিরে আসতে এবং তাফসির করতে করতে মৃত্যবরণ করতে। তিনি বলেন, তিনি কুরআনের জন্য পাগল ছিলেন। কুরআনী ব্যবস্থা চালুর জন্য পেরেসানীতে থাকতেন। যারাই তার কাছে যেতো, সবাইকে কুরআন পড়তে বলতেন, নামাজ পড়তে বলতেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি এই চেষ্টা অব্যাহত রেখেছিলেন। তাকে নজিরবিহীনভাবে অমৃত্যু কারাদন্ড দেয়া হয়েছিল। মৃত্যুর পর লাশের মালিক তো তার পরিবারের সদস্যরা, পুলিশ তো না। তার লাশটি স্ত্রীকে পর্যন্ত দেখতে দেয়া হয়নি। পুলিশ লাশ পিরোজপুর নিয়ে দ্রুত দাফনের জন্য চাপ দিয়েছে। এটা দুর্ভাগ্যজনক। মাওলানা আজ আর আমাদের মাঝে নেই। তিনি যেই কুরআনের জন্য আমৃত্য কাজ করে গেছেন, আজকে আমাদের শপথ নিতে হবে, যতদিন পর্যন্ত কুরআনের রাজ কায়েম না হবে, ততদিন পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন থামবে না।

সভাপতির বক্তব্যে নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, আল্লামা সাঈদী অবিচার ও জুলুমের শিকার। মিথ্যা অভিযোগে তিনি ১৩ বছর কারাগারে বন্ধি ছিলেন। তাকে বিনা চিকিৎসায় ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়া হয়েছে। এই অবিচারের বিচার আমরা আল্লাহর কাছে চাই। আমরা বিশ্বাস করি, আল্লাহ তায়ালা হয়তো দুনিয়াতে বিচার করবেন, না হলে আখেরাতে জালেমের বিচার অবশ্যই হবে। তিনি বলেন, মরহুম সাঈদী কোটি কোটি মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন। কেয়ামত পর্যন্ত তা জারি থাকবে। আজকে আমাদের শপথ নিতে হবে, কুরআনের সমাজ বিনির্মানে আমৃত্যু কাজ করে যাবো।