অবিলম্বে হাফেজ রেজাউল করিমের হত্যাকারীদের বিচার করুন বিক্ষোভ সমাবেশে সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্য

- আপডেট সময় : ০৩:২৭:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৩ ২৮ বার পড়া হয়েছে
গত ২৮ জুলাই কথিত শান্তি সমাবেশ শেষে ছাত্র লীগ ও যুব লীগের গুন্ডারা মাদরাসার ছাত্র হাফেজ রেজাউল করিমকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। অবিলম্বে হাফেজ রেজাউল করিমের হত্যাকারীদের গ্রেফতারপূর্বক বিচার করুন। ছাত্র লীগের গুন্ডারা সারাদেশের ক্যাম্পাসগুলোর শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বিনষ্ট করছে। ছাত্র লীগ যুব লীগ থেকে কোনো ভালো মানুষ বের হয় না। এ দু’টি সংগঠন থেকে চোর, ডাকাত গুন্ডা খুনী বের হচ্ছে। ছাত্র লীগের লাগাম টেনে ধরতে ব্যর্থ হলে পরিণাম শুভ হবে না। আজ বাদ জুমা বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের উত্তর গেইটে মাদরাসার ছাত্র হাফেজ রেজাউল করিমের হত্যাকারীদের দ্রæত বিচার এবং তার পরিবারকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণের দাবিতে সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন। সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের মুখপাত্র ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি শরীফুল ইসলাম রিয়াদের সভাপতিত্বে এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, খেলাফত ছাত্র আন্দোলনের নেতা মোল্লা মো. খালেদ ছাইফুল্লাহ, ভাষানী ছাত্র পরিষদের আহবায়ক আহমদ শাকিল, ছাত্র নেতা নিজাম উদ্দিন আদনান, মো. খালেদ ছাইফুল্লাহ, ইসলামী ছাত্র সমাজের নেতা বিএম আমির জেহাদী, কওমি মাদরাসা ছাত্র ফোরামের নেতা মো. জামিল সিদ্দিকী ও হাফেজ জাবের আল হোসাইন। বিক্ষোভ সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, শান্তি সমাবেশের নামে আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের সন্ত্রাসীরা গত ২৮ জুলাই গুলিস্তানে মাদরাসার ছাত্র হাফেজ রেজাউল করিমকে নির্মমভাবে হত্যা করে গোটা ছাত্র সমাজকেই হত্যা করেছে।
দেশটাকে এরা মগের মুল্লুক পেয়েছে। ফ্যাসিবাদী সরকারের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। ছাত্র নেতা বিন ইয়ামিন মোল্লাকে অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে। হাফেজ রেজাউল করিমের হত্যাকান্ডের মাধ্রমে মানবতা চরমভাবে ভুলুন্ঠিত হয়েছে। এই ফ্যাসিবাদী সরকারের আমলে গুন্ডা, দুর্নীতিবাজ ও খুনীরা জামাই আদরে আদালতে উঠেন। আর কারাবন্দি আলেম মামুনুল হককে পায়ে ডান্ডা বেড়ি পড়িয়ে উঠানো হয়। নেতাবৃন্দ অবিলম্বে কারাবন্দি সকল আলেমদের মুক্তির দাবি জানান। পরে হাফেজ রেজাউল করিমের হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে নগরীতে মিছিল বের করা হয়। মিছিলে শ্লোগান দেয়া হয়ে ছাত্র লীগ যুব লীগ মানুষ মারে প্রশাসন কী করে ,আমার ভাই মরলো কেন প্রশাসন জবাব দে’ রক্তের বন্যায় ভেসে যাবে অন্যায়।