রাজউকের জমি দখলে ঢাকা মেট্রোপলিটন শুটিং ক্লাব: নির্মাণাধীন স্পোর্টস গ্রাউন্ড নিয়ে জনমনে উদ্বেগ–ক্ষোভ
- আপডেট সময় : ১২:০৮:৫৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৬৯ বার পড়া হয়েছে

রাজধানীর উত্তরা ১৪ নম্বর সেক্টরে রাজউকের মালিকানাধীন প্রায় ১ বিঘা সরকারি জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। Dhaka Metropolitan Shooting Club, Gun Club ও Sports Education Academy Campus নামে পরিচিত ওই প্রতিষ্ঠানটি কবরস্থানের সামনে অবস্থিত প্লট-৩৩,৩৫,৩৭,৩৯ (রোড ২০) এবং প্লট-৩৪,৩৬,৩৮,৪০ (রোড ২১)–এ শুটিং স্পোর্টস গ্রাউন্ড নির্মাণের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
স্থানীয়দের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে প্লটগুলো রাজউকের সম্পত্তি হলেও সম্প্রতি দখলদার পক্ষ পুরো এলাকা বাউন্ডারি দিয়ে ঘিরে ফেলেছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে ইতোমধ্যে একাধিক ব্যানার, সাইনবোর্ড ও ব্র্যান্ডিংযুক্ত গেট স্থাপন করা হয়েছে।
যদিও প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে জমির একটি অংশ বরাদ্দ থাকার দাবি করা হচ্ছে, কিন্তু সরেজমিনে তারা কোনো বৈধ কাগজপত্র বা অনুমোদিত নথি দেখাতে পারেনি। ফলে সরকারি জমি দখলের বিষয়টিকে কেন্দ্র করে এলাকাজুড়ে তীব্র বিতর্ক ও ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রশ্ন—“রাজউকের মালিকানাধীন জমিতে কীভাবে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এত বড় পরিসরে স্থাপনা নির্মাণ করছে?” তাঁদের অভিযোগ, বৈধ বরাদ্দ থাকলে তা প্রকাশ করা উচিত। আর না থাকলে কারা তাদের সহায়তা করছে, তা খতিয়ে দেখা জরুরি।
এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে রাজউক জোন-১ ও জোন-২–এর পরিচালকের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার
যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এরই মধ্যে রাজধানীতে বাংলাদেশ শুটিং স্পোর্টস ফেডারেশনের তত্ত্বাবধানে গুলশান শুটিং ক্লাব পরিচালিত হচ্ছে। এমন বাস্তবতায় নতুন করে আরেকটি বেসরকারি শুটিং ক্লাবের নাম ব্যবহার করে সরকারি জমি দখলের প্রয়োজনীয়তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে।
শহর পরিকল্পনা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, “রাজধানীতে নামে–বেনামে বিভিন্ন সংগঠনের ব্যানারে সরকারি জমি দখলের প্রবণতা ভয়াবহভাবে বেড়েছে। রাজউকের উচিত কঠোর নজরদারি ও স্বচ্ছ বরাদ্দ প্রক্রিয়া নিশ্চিত করা। নইলে গুরুত্বপূর্ণ সরকারি সম্পদ ধীরে ধীরে বেসরকারি দখলে চলে যাবে।
অবৈধ দখল বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন তুরাগ থানার আহ্বায়ক নুর মোহাম্মদ ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন—
“আমরা এলাকাবাসীর মাধ্যমে জানতে পেরেছি, পূর্বে আওয়ামী লীগের অবৈধভাবে দখলে থাকা কয়েকটি প্লট ২৪–এর পরবর্তী সময়ে একটি কুচক্রী মহল শুটিং ক্লাবের নাম ব্যবহার করে স্থায়ীভাবে দখল করেছে। এটি অত্যন্ত নিন্দনীয়। অভ্যুত্থান-পরবর্তী নতুন বাংলাদেশে কোনো অবৈধ দখলদারিত্ব বা চাঁদাবাজিকে আমরা বরদাশত করব না।
ঘটনার সত্যতা যাচাই ও দখলদার পক্ষের পেছনে কারা আছে—তা জানতে তীব্র দাবি উঠেছে এলাকাবাসী ও সচেতন মহলের পক্ষ থেকে।
দ্বিতীয় পর্বে থাকছে: এই সংগঠনের পেছনে কারা আছে? কীভাবে জমি দখলের সুযোগ পেল? আসছে বিস্তারিত…










