জনগণ ভোট না দিলে চলে যাবো
দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে কাউকে খেলতে দেব না : প্রধানমন্ত্রী

- আপডেট সময় : ০২:৩৬:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ জুন ২০২৩ ৪৪ বার পড়া হয়েছে
সুইজারল্যান্ড ও কাতার সফর সম্পর্কে জানাতে আজ বুধবার (২১ জুন) দুপুরে গণভবনে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। দুপুর ১২টা ১২ মিনিটের দিকে গণভবনে এ সংবাদ সম্মেলন শুরু হয়।
সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, নির্বাচনের জন্য একটি নিদিষ্ট সময় আছে। সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়ে নির্বাচন হবে।
তিনি বলেন, আমি আগেও বলেছি, নির্বাচন কমিশন যখন ঘোষণা দেবে তখন নির্বাচন হবে। মানুষ ভোট দেবে। দেশি-বিদেশি কিছু মানুষ হয়ত নৈরাজ্যের চেষ্টা করবে। দেশি-বিদেশি অনেক ষড়যন্ত্র হবে। কিন্তু আমার প্রশ্ন, দেশের সচেতন নাগরিকরা কেনো এসব নিয়ে চিন্তা করবে।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, আমার আত্মবিশ্বাস আছে। দেশের উন্নয়ন করেছি। দেশের মানুষের জন্য কাজ করেছি। এখন পছন্দ হলে ভোট দেবে, আর না দিলে চলে যাবো।
রোহিঙ্গা পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সংকট নিরসনে সুইজারল্যান্ডসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সক্রিয় ভূমিকা পালনের আহ্বান জানানো হয়েছে। সুইজারল্যান্ডে ব্রিকসের বর্তমান চেয়ার দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকে ব্রিকস জোটে বাংলাদেশের যোগ দেয়ার আগ্রহের কথা জানাই। আগামী আগস্টে জোহানেসবার্গে ব্রিকসের শীর্ষ সম্মেলনে জোটের সদস্য সংখ্যা বাড়ানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের সম্ভাবনার কথা জানান দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দিকে ইঙ্গিত করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এসেছিল কীভাবে? তখন তো গ্যাস বিক্রির মুচলেকা দিয়েই ক্ষমতায় এসেছিল। তাহলে এখন তারা দেশ বিক্রি করবে? নাকি সেন্টমার্টিন দ্বীপ বিক্রি করার মুচলেকা দিয়ে আসতে চায়? আমি তো এইটুকু বলতে পারি, আমি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের কন্যা, আমার হাত দিয়ে এই দেশের কোনো সম্পদ কারও কাছে বিক্রি করে আমি ক্ষমতায় আসতে চাই না। ওই গ্যাস বিক্রির মুচলেকা দিলে আমিও ক্ষমতায় থাকতে পারতাম। এখনও যদি বলি ওই সেন্টমার্টিন দ্বীপ বা আমাদের দেশ লীজ দেব, তাহলে আমার ক্ষমতায় থাকার কোনো অসুবিধা নেই। আমি জানি সেটা। কিন্তু আমার দ্বারা সেটা হবে না।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে কাউকে খেলতে দেব না। আমার দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলার অধিকার কারও নেই। আর আমার দেশের মাটি ব্যবহার করে কোনো জায়গায় কেউ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাবে, কাউকে এটাক করবে এই ধরণের কাজ আমরা হতে দেব না। আমরা শান্তিতে বিশ্বাস করি, আমরা শান্তিপূর্ণ সহযোগিতা কামনা করি।’
মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত হয়ে প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়ার প্রসঙ্গ তুলে শেখ হাসিনা বলেন, ‘তারপরও তো আমরা মিয়ানমারের সঙ্গে ঝগড়া করিনি। আমরা তাদের সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছি। এরা যাতে ফেরত যায় তার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছি। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আমরা অনুরোধ করছি তারা ফেরত যাক নিজের দেশে। কিন্তু আমরা তো ঝগড়া বা যুদ্ধ করতে চাইনি। আমরা সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়, এই নীতিতেই বিশ্বাস করি। সেটাই আমরা মেনে চলব।’
সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ সদস্যবৃন্দ, আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতা, সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।