০৩:১০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫, ৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ভোলা-বরিশাল সেতুর দাবিতে মানববন্ধন ভোলা জেলা ওলামা তলাবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বিলুপ্ত করায় বিমানবন্দরে এফবিসিসিএফএএ’র সংবাদ সম্মেলন ক্যারিয়ার বাংলাদেশের গোল টেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত দলিপাড়া ও দেশবাসীকে ঈদ-উল-ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন আবু জাফর আলম উত্তরা ১১ নং সেক্টর ও দেশবাসীকে ঈদ-উল-ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন অধ্যক্ষ সালাউদ্দিন ভূঁইয়া সেই গুলিবিদ্ধ ইমরান কে দেখতে গেলেন লুৎফুজ্জামান বাবর একাত্তরের ন্যায় ২৪ যোদ্ধারাও পাবে সকল সুবিধা-মুস্তাফিজ সেগুন গুম-খুনের শিকার ও চব্বিশের শহীদ পরিবারকে ঈদ উপহার দিলেন বিএনপি নেতা আমিনুল হক জাতিসঙ্ঘ শূন্য বর্জ্য দিবসে প্রফেসর ইউনূসকে অভিনন্দন জানালেন তুরস্কের ফার্স্ট লেডি চীনা বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

অবিলম্বে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিন : বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশ

নিউজ ডেস্ক :
  • আপডেট সময় : ০৩:৩০:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৩ ৩৭ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস অব টাইম অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সরকারের জুলুম নির্যাতন চরমে পৌঁছেছে। এই জুলুমবাজ সরকারকে প্রতিহত করা ঈমানী দায়িত্ব। যে ব্যক্তি জুলুমবাজদের ব্যাপারে চুপ থাকবে তারা বোবা শয়তান। আমরা বোবা শয়তান হতে চাই না। স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করুন। না হয় করুণ পরিণতি বরণ করতে হবে। অবিলম্বে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন দিতে হবে। চোর ডাকাতদের জামিন হয়, আর কারাবন্দি নির্দোষ আলেমদের জামিন হয় না। এটা মেনে নেয়া যায় না। আজ শনিবার তোপখানা রোডস্থ ফেনী সমিতি মিলনায়তনে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের উদ্যোগে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন, দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি রোধ এবং মাওলানা মামুনুল হকসহ কারাবন্দি আলেমদের মুক্তির দাবিতে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় শীর্ষ নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন। দলের আমির আল্লামা ইসমাঈল নূরপুরীর সভাপতিত্বে এবং যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমিনের সঞ্চালনায় এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, প্রবীণ রাজনীতিবিদ ও জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সহসভাপতি আল্লামা আব্দুর রব ইউসুফী, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সিনিয়র নায়েবে আমির মাওলানা ইউসুফ আশরাফ, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আব্দুল কাদের, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের মহাসচিব কাজী আবুল খায়ের, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ,এবি পার্টির সদস্য সচিব মুজিবুর রহমান মঞ্জু, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমির মাওলানা রেজাউল করিম জালালী, নায়েবে আমির আফজালুর রহমান, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির যুগ্ম মহাসচিব সদ্য কারামুক্ত নেতা মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, ইসলামী আন্দোলনের নেতা মুফতি কেফায়েতুল্লাহ কাশফী তোফাজ্জাল হোসেন মিয়াজী, কোরবান আলী কাশেমী, মাওলানা মাহবুবুল হক ও মুফতি শরাফত হোসেন।
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমীর শায়খুল হাদীস আল্লামা ইসমাঈল নুরপুরী বলেন, এই সরকারের জুলুম নির্যাতন চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। জুলুমের শিকার নিপীড়িত মানুষকে সাহায্যকরতে হবে। জালেমকেও সাহায্য করতে হবে। আমাদের সংগঠনের মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক দীর্ঘ দুই বছরের বেশি সময় কারাবন্দি রয়েছে। তিনি প্রশ্ন করেন চোর ডাকাত ও দুর্নীতিবাজরা মুক্তি পেলেও মাওলানা মামুনুল হকসহ আলেমরা কেন মুক্তি পা্েচ্ছন না? দেশের মানুষ জানতে চায়। মাওলানা মামুনুল হক সহ আলেমদের দ্রুত মুক্তি দিতে হবে অন্যথায় পরিণতি ভালো হবে না। তিনি বলেন, ব্যবসায়ীদের একটি গোষ্ঠী সিন্ডিকেটের মাধ্যমে জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে মানুষকে কষ্ট দিচ্ছে। মনুষের জীবন পরিচালনা দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে। সরকার জিনিসপত্রের দাম নিয়ন্ত্রনে সম্পূর্ণ ব্যর্থ। এ ব্যর্থতার দায়ে সরকারের পদত্যাগ করা উচিৎ। তিনি বলেন, অবিলম্বে পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন দিতে হবে।
মাওলানা ইউসুফ আশরাফ বলেন, সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা বিভিন্ন সময় দাবী করে ৭০ ভাগ জনগণ তাদের সাথে রয়েছে। তাদের কাছে আমাদের প্রশ্ন হলো তাহলে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন দিতে এত ভয় পান কেন? গলাবাজি করে ক্ষমতায় বেশি দিন থাকা যায় না। মাওলানা আব্দুর রব ইউসুফী বলেন, মাওলানা মামুনুল হকসহ আলেমদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক উদ্যেশ্যে মামলা দিয়ে কারাবন্দি করা হয়েছে। আলেমদের মুক্তি না দিলে জনগণ আন্দোলনের মাধ্যমে মুক্ত করে ছাড়বে। মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে খুশি করতে দেশের আলেমদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে পাঠিয়েছেন। অথচ নরন্দ্র মোদীই ব্রিকস এর সদস্য পদ পেতে বাংলাদেশকে বাধা প্রদান করেন। মোদীকে খুশি করে ক্ষমতায় থাকা যাবে না। ড. আহমদ আব্দুল কাদের বলেন, আওয়ামী সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন দেখার সুযোগ নেই। তারা নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। সুতরাং আগামী নির্বাচন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে হতে হবে। কাজী আবুল খায়ের বলেন, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন, মাওলানা মামুনুল হকসহ আলেমদের মুক্তি এবং দ্রব্যমূল্য ঊর্ধ্বগতি রোধের দাবীর পক্ষে এদেশের ৮০ভাগ মানুষ। এ সরকার মামুনুল হককে ভয় পায়। তাই মুক্তি দিচ্ছে না। আলেমদের মুক্তি না দিলে পরিণতি ভালো হবে না। মুজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, শুধু মাওলানা মামুনুল হকসহ আলেমরা জেলে নয়। আমরা সবাই জেলে বন্দি। আমাদের অধিকার আদায়ে ঐক্যবদ্ধভাবে ময়দানে নামতে হবে। মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী বলেন, কারাবন্দী আলেম সব মামলায় জামিন পেলেও নতুন মামলা দিয়ে তাদের কারাগারে বন্দি করে রেখেছে। তাদের মুক্ত করতে আমাদের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে নামতে হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

অবিলম্বে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিন : বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশ

আপডেট সময় : ০৩:৩০:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৩

সরকারের জুলুম নির্যাতন চরমে পৌঁছেছে। এই জুলুমবাজ সরকারকে প্রতিহত করা ঈমানী দায়িত্ব। যে ব্যক্তি জুলুমবাজদের ব্যাপারে চুপ থাকবে তারা বোবা শয়তান। আমরা বোবা শয়তান হতে চাই না। স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করুন। না হয় করুণ পরিণতি বরণ করতে হবে। অবিলম্বে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন দিতে হবে। চোর ডাকাতদের জামিন হয়, আর কারাবন্দি নির্দোষ আলেমদের জামিন হয় না। এটা মেনে নেয়া যায় না। আজ শনিবার তোপখানা রোডস্থ ফেনী সমিতি মিলনায়তনে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের উদ্যোগে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন, দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি রোধ এবং মাওলানা মামুনুল হকসহ কারাবন্দি আলেমদের মুক্তির দাবিতে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় শীর্ষ নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন। দলের আমির আল্লামা ইসমাঈল নূরপুরীর সভাপতিত্বে এবং যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমিনের সঞ্চালনায় এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, প্রবীণ রাজনীতিবিদ ও জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সহসভাপতি আল্লামা আব্দুর রব ইউসুফী, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সিনিয়র নায়েবে আমির মাওলানা ইউসুফ আশরাফ, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আব্দুল কাদের, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের মহাসচিব কাজী আবুল খায়ের, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ,এবি পার্টির সদস্য সচিব মুজিবুর রহমান মঞ্জু, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমির মাওলানা রেজাউল করিম জালালী, নায়েবে আমির আফজালুর রহমান, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির যুগ্ম মহাসচিব সদ্য কারামুক্ত নেতা মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, ইসলামী আন্দোলনের নেতা মুফতি কেফায়েতুল্লাহ কাশফী তোফাজ্জাল হোসেন মিয়াজী, কোরবান আলী কাশেমী, মাওলানা মাহবুবুল হক ও মুফতি শরাফত হোসেন।
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমীর শায়খুল হাদীস আল্লামা ইসমাঈল নুরপুরী বলেন, এই সরকারের জুলুম নির্যাতন চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। জুলুমের শিকার নিপীড়িত মানুষকে সাহায্যকরতে হবে। জালেমকেও সাহায্য করতে হবে। আমাদের সংগঠনের মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক দীর্ঘ দুই বছরের বেশি সময় কারাবন্দি রয়েছে। তিনি প্রশ্ন করেন চোর ডাকাত ও দুর্নীতিবাজরা মুক্তি পেলেও মাওলানা মামুনুল হকসহ আলেমরা কেন মুক্তি পা্েচ্ছন না? দেশের মানুষ জানতে চায়। মাওলানা মামুনুল হক সহ আলেমদের দ্রুত মুক্তি দিতে হবে অন্যথায় পরিণতি ভালো হবে না। তিনি বলেন, ব্যবসায়ীদের একটি গোষ্ঠী সিন্ডিকেটের মাধ্যমে জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে মানুষকে কষ্ট দিচ্ছে। মনুষের জীবন পরিচালনা দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে। সরকার জিনিসপত্রের দাম নিয়ন্ত্রনে সম্পূর্ণ ব্যর্থ। এ ব্যর্থতার দায়ে সরকারের পদত্যাগ করা উচিৎ। তিনি বলেন, অবিলম্বে পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন দিতে হবে।
মাওলানা ইউসুফ আশরাফ বলেন, সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা বিভিন্ন সময় দাবী করে ৭০ ভাগ জনগণ তাদের সাথে রয়েছে। তাদের কাছে আমাদের প্রশ্ন হলো তাহলে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন দিতে এত ভয় পান কেন? গলাবাজি করে ক্ষমতায় বেশি দিন থাকা যায় না। মাওলানা আব্দুর রব ইউসুফী বলেন, মাওলানা মামুনুল হকসহ আলেমদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক উদ্যেশ্যে মামলা দিয়ে কারাবন্দি করা হয়েছে। আলেমদের মুক্তি না দিলে জনগণ আন্দোলনের মাধ্যমে মুক্ত করে ছাড়বে। মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে খুশি করতে দেশের আলেমদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে পাঠিয়েছেন। অথচ নরন্দ্র মোদীই ব্রিকস এর সদস্য পদ পেতে বাংলাদেশকে বাধা প্রদান করেন। মোদীকে খুশি করে ক্ষমতায় থাকা যাবে না। ড. আহমদ আব্দুল কাদের বলেন, আওয়ামী সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন দেখার সুযোগ নেই। তারা নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। সুতরাং আগামী নির্বাচন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে হতে হবে। কাজী আবুল খায়ের বলেন, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন, মাওলানা মামুনুল হকসহ আলেমদের মুক্তি এবং দ্রব্যমূল্য ঊর্ধ্বগতি রোধের দাবীর পক্ষে এদেশের ৮০ভাগ মানুষ। এ সরকার মামুনুল হককে ভয় পায়। তাই মুক্তি দিচ্ছে না। আলেমদের মুক্তি না দিলে পরিণতি ভালো হবে না। মুজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, শুধু মাওলানা মামুনুল হকসহ আলেমরা জেলে নয়। আমরা সবাই জেলে বন্দি। আমাদের অধিকার আদায়ে ঐক্যবদ্ধভাবে ময়দানে নামতে হবে। মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী বলেন, কারাবন্দী আলেম সব মামলায় জামিন পেলেও নতুন মামলা দিয়ে তাদের কারাগারে বন্দি করে রেখেছে। তাদের মুক্ত করতে আমাদের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে নামতে হবে।